প্রায় তিন দশক পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা হল বুধবার। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং-সহ ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করেছে লখনউয়ের (উত্তর প্রদেশ) বিশেষ সিবিআই আদালত। বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। বিচারক স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব-পরিকল্পিত নয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতা-নেত্রীরা মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানিতে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব-পরিকল্পিত নয়। তাই প্রত্যেককেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার শুনানিতে এদিন সশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, সতীশ প্রধান এবং মহন্ত নিত্য গোপাল দাস। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই মুহূর্তে ঋষিকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী। অতিমারির মধ্যে বয়সজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং প্রমুখ আদালতে যাবেন না বলে জানান আইনজীবী কেকে মিশ্র। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন তাঁরা। তবে,আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন সাধ্বী ঋতম্ভরা, চম্পত রাই, বিনয় কাটিয়ার, বৃজভূষণ শরণ সিং এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৬ জন ইতিমধ্যে প্রয়াত। বাকি ৩২ জনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন আইনজীবী কেকে মিশ্র। বুধবার ৩২ জন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।