ভুয়ো খবর, পর্ণোগ্রাফি, দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসমূলক খবর রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানোর আর্জি জানিয়ে মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার তামিলনাড়ু সরকারের তরফে দায়ের করা মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায় তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে বেণুগোপাল বলেন, “ভুয়ো খবর, পর্ণোগ্রাফি, দেশ বিরোধী এবং সন্ত্রাসমূলক বিষয় রুখতে ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপ প্রোফাইলের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করা হোক।”
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়ো খবর। অতীতেও শীর্ষ আদালতে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, তিল কে তাল করা তো আছেই। কিন্তু এমন খবর রটে যাচ্চছে, যার কোনও ভিত্তিই নেই। আদালতের কাছে তামিলনাড়ু সরকারের আবেদন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আধার কার্ডের ১২ ডিজিট নম্বর লিঙ্ক করলে, এই ফেক খবর ছড়ানোর রমরমা অনেকটাই রোখা যাবে। যারা এই কাজ করছে, তাদেরও চিহ্নিত করা যাবে।
এই মামলার অংশ হতে চেয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তাত্ত্বিক কেএন গোবিন্দচার্য। তাঁর আইনজীবী বিবেক গুপ্তা আদালতে জানিয়েছেন, দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে এ ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে। আদালতে এ-ও জানানো হয়েছে মাদ্রাজ ও বম্বে হাইকোর্ট এবং মধ্যপ্রদেশের আদালতে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলে রয়েছে। যদি সবকটা মামলাকে এক জায়গায় এনে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি করে, সে ব্যাপারেও আদালতে আবেদন জানান কে বেণুগোপাল।
তবে এনিয়ে বিতর্কও রয়েছে নানা মহলে। অনেকের বক্তব্য, এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সমস্ত কাজেই আধার কার্ডের ১২ ডিজিট নম্বর লাগে। সেক্ষেত্রে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমে সেই নম্বর দিলে তাহলে হাটের মাঝে পড়ে যাবে ওই নম্বর। গোপনীয়তা বলে আর কিছু থাকবে না।
যদিও এই মাওলায় কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। জানিয়েছে, আরও বিস্তারিত শোনার প্রয়োজন রয়েছে।