আমার কাছে ১৩০ জনের নাম আছে। তারা জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ছেলে অথবা আত্মীয়। তারা বিদেশে পড়াশোনা করছে অথবা চাকরি করছে। সোমবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির শাসনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরে স্কুল বন্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু নিজেদের ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে পড়াশোনা করায়।
তাঁর কথায়, কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যে আত্মীয়রা বিদেশে আছে, তাদের নামের তালিকা আমি পেয়েছি। আমি রাজ্যসভার সদস্যদের বলতে চাই, এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই কাশ্মীরে স্কুল বন্ধ রাখতে বলে। ছেলেদের পাথর ছুঁড়তে বলে। এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার ছেলে সৌদি আরবে চাকরি করে। মাসে ৩০ লক্ষ টাকা মাইনে পায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের পরিবারের সদস্যদের ৯০ শতাংশ পাকিস্তানে কিংবা উপসাগরীয় দেশগুলিতে বসবাস করে। তাদের বিদেশে পাঠাতে সাহায্য করে পাকিস্তানের হাই কমিশন।
অমিত শাহের অভিযোগ, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য পাকিস্তান থেকে অর্থ আসে। ইউপিএ সরকার তা বন্ধ করতে পারেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আমরা অর্থ আসার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। সিডিবিটি আর ইডি-র অফিস খোলা হয়েছে শ্রীনগরে। আমাদের বিভিন্ন সংস্থা ৩১ টি মামলা চালাচ্ছে। ২৪ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে।
দুখতারান ই মিলাত সংগঠনের নেত্রী আসিয়া আনদ্রাবির নাম উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, তাঁর ছেলে থাকে মালয়েশিয়ায়। এদিকে তিনি কাশ্মীরে বিক্ষোভে মদত দেন। আসিয়া আনদ্রাবি এখন দিল্লির তিহড় জেলে বন্দি আছেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ যোগাতেন।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির এক অফিসার জানিয়েছেন, জেরায় আনদ্রাবি স্বীকার করেছেন, তিনি বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার টাকা নিতেন। সেই টাকা কাশ্মীর উপত্যকায় মহিলাদের সংগঠিত করার কাজে ব্যবহৃত হত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর উপত্যকার তরুণরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্ন করুক, আপনাদের সন্তানরা কোথায় লেখাপড়া করছে? তারা সকলে লন্ডন অথবা আমেরিকায় পড়াশোনা করে। জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের টাকায় তাদের খরচ চলে।