কালোধনের উপরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে সুইস ব্যাংক গ্রাহকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। এদের মধ্যে ৫০ জন ভারতীয়র নামও যুক্ত আছে। সুইস সরকারের আধিকারিকরা এই তথ্য ভারত সরকারকে দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। সুইস সরকারের সাথে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, তাঁরা ভারত সরকারকে তথ্য দেবে যে, তাঁদের ব্যাংকে কতজন ভারতীয়র কত টাকা আছে। সুইস সরকার জানায় যে, বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁরা কালোধনের মালিকদের উপরে পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আর এই চুক্তি অনুযায়ী, তাঁরা কালোধনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ধারকদের তথ্য ভারত সরকারের সাথে শেয়ার করবে। এই ক্রমে কয়েকজনের নাম ভারতের কাছে দেওয়াও হয়েছে।
যাদের সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে তাঁরা রিয়েল ইস্টেট ব্যাবসায়ি, শিল্পপতি, টেলিকম সেক্টর, ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী আর অলংকারের ব্যাবসার সাথে জড়িত। যদিও এদের মধ্যে কিছু কোম্পানির নামও আছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ অথবা কোম্পানি কলকাতা, গুজরাট, মুম্বাই, দিল্লীর বলে জানা গেছে।
কিছু মানুষের নাম পানামার তালিকায়ও আছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগ এবং ইডির মামলা দায়ের আছে। সুইস আধিকারিক জানান যে, তাঁরা মার্চ থেকে এখনো পর্যন্ত ৫০ ভারতীয় গ্রাহকদের নোটিশ জারি করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে আবেদন করার অবসর দিয়েছে।
সুইস সরকার তাঁদের আইন অনুযায়ী, সম্পূর্ণ নামের যায়গায় কেবলমাত্র প্রাথমিক অক্ষর জানিয়েছে। যেরকম এনএমএ, এমএমএ, পিএএস, আরএএস, এবিকেআই, পিএম, জেএনবি, জেডি, এডি এরকম। এছাড়াও গ্রাহকদের জাতীয়তা আর জন্মের তারিখ ও বলা হয়েছে।
কিছু গ্রাহকদের সম্পূর্ণ নামও বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণ ভগবান রামচন্দ্র, কল্পেশ হর্শদ কিনারীবালা, পোতলুরি রাজামোহন রাও, কুলদীপ সিং টিংরা, ভাস্করন নলিনি, ললিতাবেন চিমনভাই প্যাটেল, সঞ্জয় ডালমিয়া, পঙ্কজ কুমার সরাবগী, অনিল ভরদ্বাজ, রতন সিং চৌধুরী ইত্যাদি ইত্যাদি।