কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হল সংসদের উভয়কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভা। লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। অধীরের কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার। তাঁরাই ঠিক করবে এই ব্যাপারে কে কথা বলবে।
সেখানে সদন চাপিয়ে দিতে পারে না। একইভাবে রাজ্যসভাতেও কংগ্রেস সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে বয়ান দেওয়ার দাবি তোলেন।
এদিন ট্রাম্পের দাবিতে নস্যাৎ করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাজ্যসভায় স্পষ্ট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এরকম কোনো অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে করেননি। তাছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা দ্বিপাক্ষিক স্তরে লাহোর ওসিমলা চুক্তির মাধ্যমেই হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা তখনই সম্ভব হবে, যখন পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করবে।” বিদেশমন্ত্রীর এই দাবির পরে, কংগ্রেস ও বিরোধী সাংসদরা এই একই কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোনার দাবি জানান। এই প্রবল হট্টগোলের মধ্যে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু সভার জিরো আওয়ারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য, সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন। এদিন রাতে ট্রাম্পের এই দাবিকে উড়িয়ে দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। পরে আমেরিকার বিদেশ বিভাগ জানায়, ভারত-পাকিস্তান সমস্যার সমাধান দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে আমরা শুধু এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আমেরিকা সাহায্য করবে।