যারা সদাসর্বদা আর এস এস’কে গালি পাড়তে থাকেন,আম্বেদকরজিকে অস্পৃশ্যতার ওপরে রেখে যান, তাদেরকে জানানোর জন্য ছোট্ট এই টীকাটি ।
১৯৩৯ সালের মে মাসে পূণেতে আর এস এস শিবির পরিদর্শন করেন বাবা সাহেব আম্বেদকর পরিদর্শনের পর তিনি বলেছিলেন ‘আমি খুব অবাক হয়েছি এই দেখে যে,এই শিবিরের স্বয়ং সেবকরা একে অপরের জাত-বর্ণ নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলেই সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে ও একসঙ্গে কাজ করছে।’
এর আগে গান্ধীর আর এস এস মূল্যায়ন আমি দেখিয়েছি।তা সত্ত্বেও আবার বলছি, তিনি ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে আর এস এস এস’এর শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এক ভাষণে বলেছিলেন ‘আমি যখন আপনাদের শিবির পরিদর্শন করি,তখন শিবিরের শৃঙ্খলাপরায়ণতা এবং সামাজিক অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই আমাকে মুগ্ধ করেছিল।’ অর্থাৎ ভারতবর্ষে বাবা সাহেবের অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই ও অস্পৃশ্যতাদূরীকরণ আন্দোলন হাতে কলমে শুরু হয় আর এস এস’এর হাত ধরে, একথা অস্বীকার করা যায় না ।
আর এস এস’এর আরও একটি দেশ প্রেমের নমুনা জানাই। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পর সময়ে দিল্লির পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুসলিম সমর্থকরা দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে থাকে।
এই সময় বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, ভারত রত্ন উপাধিতে ভূষিত ‘ভগবান দাস’ প্রকাশ্যে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন,’ আমি একটি নির্দিষ্ট সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে ১৯৪৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের সব হিন্দু আধিকারিকদের হত্যা করে ও দিল্লিতে হিন্দু নিধন চালিয়ে লাল কেল্লায় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছে (ধর্ম নিরপেক্ষ ও বামপন্থীদের দৃষ্টিতে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন) মুসলিম লীগ ও তাদের সমর্থকরা।লীগ সমর্থকদের এই চক্রান্তের কথা সময়মতো প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে জানিয়ে দেয় আর এস এস’এর স্বয়ং সেবকরা।সেদিন যদি নেহরু ও প্যাটেলকে সময়মতো এই খবর পৌঁছে না দিতেন,তাহলে স্বাধীন হিন্দুস্তানের অস্তিত্ব থাকত না। আমাদের পুরো ভারতবর্ষ’টার নাম হয়ে যেত পাকিস্তান।
পবিত্র রায়