অনুব্রত মণ্ডলের নিজের গড়, বীরভূমেই গ্রেফতার হলেন ‘খুড়তুতো ভাই’। যদিও অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিয়েছেন, ধৃত সুমিত রঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর কোনও আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বোলপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

লোকসভা ভোটের পরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন পেশায় শিক্ষক এই সুমিত রঞ্জন মণ্ডল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর দাদা হন। যদিও সে কথা মানতে নারাজ ছিলেন কেষ্টা। শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারির পর আরও একবার সে কথাই মনে করিয়ে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।

পুলিশ জানিয়েছে, এই সুমিত রঞ্জন মণ্ডল পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ ছিল। একটি পুরনো মামলার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পুলিশের এসব কথা মানতে নারাজ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি সাফ দাবি করেন, শুধুমাত্র বিজেপি করার জন্যই সুমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতিও এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, সুমিত তো কোনও অশান্তি করছিল না, তাহলে তাঁকে কেন গ্রেফতার করল পুলিশ?

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সুমিত রঞ্জন মণ্ডল। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, সুমিত দলের শিক্ষক সংগঠনে কাজ করছিলেন। বীরভূম জেলায় বিজেপির সক্রিয় শিক্ষক নেতা তিনি।

প্রসঙ্গত, পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমনকী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। আর সকলকে চমকে দিয়ে সেদিকে সমর্থনের ইঙ্গিত জানিয়েছিলেন লোকসভায় বঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর বাবু। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণে খুন হয়েছে তাঁদের চার কর্মী সমর্থক। এ রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা পুরোপুরি বিঘ্নিত। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.