সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে সেই বিক্ষোভের আঁচ। রবিবার দিল্লির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাসে। সেইসময় বাসে যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন এই প্রত্যক্ষদর্শী।
এনডিটিভি-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাইক থেকে পেট্রোল বের করে তিনটি বাসে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে এসে দুই দমকলকর্মী আহত হন এই ঘটনায়। বিক্ষভ থামাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। রবি নামে ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, লোকগুলো বাইক থেকে পেট্রোল বের করে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখনও বাসের মধ্যে যাত্রী ছিল। এক মহিলা আতঙ্কে চীৎকার করছিলেন। তাঁর কথায়, অন্তত ১৫-২০ জন এই কাজ করেছে। একজন পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল।
এদিন, নয়াদিল্লির মথুরা রোড, ভরত নগর সহ একাধিক এলাকায় একের পর এক বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বাসের আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলবাহিনী। কিন্তু আন্দোলনকারীরা দমকলের একাধিক ইঞ্জিনে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়।
জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে সিআরপিএফও নামানো হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে দিল্লিতে দিল্লির মেট্রো পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। দিল্লি মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে, সুখদেব বিহার, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ওখলা বিহার এবং যশোলা বিহার এই চারটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও ট্রেন এই চারটি স্টেশনে থামবে না বলেও জানানো হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে ওঠে অসম ও ত্রিপুরায়। গুয়াহাটিতে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। প্রতিবাদ চলে সিএবি-র বিরুদ্ধে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া মতো ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়েও।