জঙ্গিদের শেষকৃত্যে ভিড় যাতে না জমে, তাই নিয়ে চরম কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার

জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গিদের মৃত্যুর পর এবার তাঁদের শেষ কৃত্যে আর ভিড় জমা হবেনা। আর না জেহাদিদের ভাষণ চলবে, আর না এরকম ছবি আর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবে। আর এই জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকার এক চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, জঙ্গিদের শেষকৃত্যে নতুন ভাবে জঙ্গি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

২০১৫ সালে জেহাদি আবু কাশিমের জানাজায় হাজার হাজার লোক জমা হয়েছিল। আর তারপর থেকে উপত্যকায় জেহাদিদের জানাজায় প্রচুর মানুষ জমা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভিড় জমা করে, নতুন জঙ্গিও বানানোর কাজ করছে জেহাদিরা।

এবার স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনায় লাগাম লাগানোর জন্য বিদেশি জঙ্গিদের মৃত দেহ কাশ্মীরিদের হাতে তুলে দেওয়ার যায়গায়, নিজেরাই কোন গোপন স্থানে দফন করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জঙ্গিদের দেহ তাঁদের পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে প্রচুর পরিমাণে মানুষ জমা হয়। এছাড়াও জঙ্গিরা কবরস্থানে গিয়ে হাওয়ায় ফায়ারিং করে মৃত সাথিদের সম্বর্ধনা জানায়। অনেক উলেমা আর জঙ্গিরা ভাষণ ও দেয়। তাঁরা জানাজায় জমা ভিড়কে কাশ্মীরকে ভারতের বিরুদ্ধে দেখানোর চেষ্টা করে।

হিন্দি সংবাদ মাধ্যম দৈনিক জাগরণের অনুযায়ী, এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, কোন এনকাউন্টারে স্থানীয় জঙ্গিকে খতম করা হলে, তাঁর পরিচয় ততক্ষণ লুকিয়ে রাখা হবে, যতক্ষণ না ওই জঙ্গির গ্রামে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। সেনার উপস্থিতিতে জঙ্গির দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যাতে জানাজা জুলুসে না বদলে যায়।

যেখানে জঙ্গিদের মাটি দেওয়া হবে, সেখানে অনান্য মানুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। জঙ্গিদের পরিজন আর পরিবারের সাথে সাথে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, ধর্মীয় নেতা আর ওয়াকাফ কমিটির লোক থাকবে শুধু। তাঁদের সবার ভিডিও রেকর্ডিং ও হবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এক অন্য আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই ইস্যু দুদিন আগে অমিত শাহ-এর বৈঠকে তোলা হয়েছিল। আর এই সম্বন্ধীয় একটি প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। যেটার জন্য শেষ সিদ্ধান্ত মন্ত্রালয় নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.