একদিকে ভোর রাতেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে হায়দরাবাদ ধর্ষণে অভিযুক্তদের। অন্যদিকে, নির্ভয়ার অপরাধীদের প্রাণ ভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিল কেন্দ্র। এরই মধ্যে ধর্ষক প্রসঙ্গে বিবৃতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
শুক্রবার তিনি বলেন, ‘POCSO আইনের আওতায় কোনও ধর্ষকই ক্ষমা ভিক্ষা করতে পারবে না।’ সংসদে মার্সি প্লি রিভিউ করার আবেদন জানিয়েছে তিনি।
২০১২-র গণধর্ষণের ঘটনায় এক অপরাধী প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন দিল্লি সরকার আগেই খারিজ করে দিয়েছিল। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও তা খারিজ করে দিয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সেই আবেদন পাঠানো হয়েছে।
এদিন নির্ভয়ার মা এনকাউন্টারে খবর শোনার পর বলেন, সরকারের আজ দেখা উচিৎ হায়দরাবাদ পুলিশ কীভাবে নজির গড়েছে। এই শাস্তিতে অত্যন্ত খুশি তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত সাত বছর ধরে বলে আসছি, ধর্ষকদের শাস্তি দিন। প্রয়োজন হলে নিয়ম ভেঙে শাস্তি দিন। আজ অন্তত কারও মেয়ে সুবিচার পেয়েছে।’
শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েচে চার অভিযুক্তের। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। ওই পথেই পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা।
শাদনগরের যে রাস্তায় ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। চারজনই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য তাদের ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখনই তারা পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ।
গত কয়েকদিন ধরেই তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছিল সব মহল থেকেই। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান জয়া বচ্চন সহ একাধিক সাংসদ।