পরপর দুবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা বিজেপি, এবার দলকে নির্বাচনে অজেয় বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এর জন্য মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরিব সমেত সমস্ত বর্গের মানুষের জন্য বিশেষ প্রকল্প যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাগু করার কাজ আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলেছে। আর এর জন্য সরকার এবং দল ২০২২ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি মানুষকে প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত করতে চাইছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের জন্য নতুন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নিজেই কাজ শুরু করছেন।
দলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নির্বাচনে গ্রামীণ আবাস যোজনা আর শৌচালয় বানানোর মত প্রকল্পের সোজাসুজি প্রভাব ভোটের মাধ্যমে দেখা গেছে। বিজেপি এখন উচ্চতর এবং ধনী শ্রেণী ছাড়াও দেশের প্রতিটি পরিবার এবং প্রতিটি মানুষের সাথে এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্ত হবে। ২০২২ পর্যন্ত কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রকল্প ১০০ শতাংশ পুরো করার জন্য কৃষি এবং গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।
এর সাথে, আগামী দুই বছরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দেশের ৫০ কোটি মানুষের শতকরা ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে সরকার। ১৪.৫ কোটি কৃষককে কিষাণ সন্মান নিধি প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ৬০০০ টাকা, ছোট আর সীমান্ত কৃষকদের জন্য ৩০০০ টাকার পেনশন যোজনা, অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক ও মজদুরদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানদণ্ড যোজনার মাধ্যমে ৩০০০ টাকা মাসিক পেনশন আর অটল পেনশন প্রকল্পে ৫০০০ টাকার লাভ দেশের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার কাজ করছে সরকার। ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িদের জন্য ৩০০০ টাকার পেনশন যোজনাও সম্পূর্ণ ভাবে লাগু করার কাজ শুরু হচ্ছে।
২০২২ পর্যন্ত সবার মাথায় ছাদ, প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ জল, শৌচালয় আর গ্যাস কানেকশন দেওয়ার জন্যও সরকার বদ্ধপরিকর হয়েছে। ২০২২ পর্যন্ত প্রতিটি গ্রামকে উন্নত সড়কের মাধ্যমে যুক্ত করার সরকারের প্রাথমিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ঘোষণা করেছে যে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাকা রাস্তার দীর্ঘতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হবে। আর এটার বেশিরভাগ কাজই আগামী তিনবছরের মধ্যে পূরণ করতে হবে।