চাঁদের মাটিতে পৌঁছেছে বিক্রম। এখনও যোগাযোগ করা না গেলেও সেই সুখবর ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইসোর। শনিবার ভোর রাতে চাঁদের থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ। তবে যে ভাবে চাঁদের অন্ধকার দিকে পৌঁছতে অভিযান চালিয়েছে ভারত তা প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে নাসার। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চেয়েছে। ইসরো-র সঙ্গে যৌথ ভাবে মহাকাশ গবেষণা চালাতে চায় তারা। কারণ, ইসরো-র অভিযান নাসাকে প্রেরণা জুগিয়েছে।
টুইটারে ইসরো-কে ট্যাগ করে নাসা লিখেছে, ‘মহাকাশটা কঠিন জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে ইসরো-র চন্দ্রযান-২ অভিযান প্রশংসনীয়। অভিনন্দন জানাই। এই প্রেরণাদায়ক অভিযানের পরে ভবিষ্যতে একসঙ্গে সৌরজগতের অন্বেষণ করতে আমরা উদ্বুদ্ধ।’
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র মতোই ভারতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। আমেরিকা জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২ অভিযান ভারতের একটি বিরাট পদক্ষেপ। যা ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে প্রেরণা জোগাবে।
আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার কার্যনির্বাহী সরকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েসল টুইটারে লিখেছেন, ‘চন্দ্রযান-২-এর অনন্য প্রচেষ্টার জন্য ইসরো-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারতের পক্ষে একটি বিরাট পদক্ষেপ এই অভিযান। আগামী দিনেও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে তা মূল্যবান তথ্য জোগাবে।’
চাঁদ ছোঁয়ার শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ হারালেও আশা ছাড়ছেন না ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-র বিজ্ঞানীরা। ইসরো-প্রধান কে শিবন জানিয়েছেন, গোটা অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৪ দিন ধরে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। ইতমধ্যেই বিক্রমের খোঁজ মিলেছে। এখন অপেক্ষা তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের।