দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার পর রায়মা ২৪ নভেম্বর ২০১১ সালে বিয়ে করেন। পরিবারের দেখাশোনাতেই এই বিয়ে হয়। ২৩ জুন ২০১৩ সালে রায়মা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকেই রায়মার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পণ এর জন্য তাঁর উপর অত্যাচার করতে থাকে। রায়ামার স্বামী আতির শামিম অনেক দিন ধরেই তালাক এর হুমকি দিচ্ছিল। এরপর ২৩ জুন ২০১৯ এ সে রায়মাকে তিন তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়।
রায়মা প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি যে সে কি করবে? অবশেষে তালাক পাওয়ার প্রায় একমাস পর সংসদে তিন তালাক বিল পাশ হয়।
এরপরেই রায়মা অবলা থেকে সবলা হয়ে যান। তিনি পুলিশে গিয়ে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ‘মুসলিম উইমেন প্রোটেকশ্ন অফ রাইট অন ম্যারেজ অ্যাক্ট” ২০১৯ এর ৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করে নেয়। এরপর পুলিশ রায়মার স্বামীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের অনুযায়ী, তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন আসার পর এটাই দিল্লীতে প্রথম গ্রেফতারি। নির্যাতিত রায়মা পুলিশকে জানায়, তাঁর স্বামী তাঁকে তিন তালাক দেওয়ার পর সে অসহায় হয়ে পড়ে। সে তাঁর স্বামী এবং তাঁর শ্বশুর বাড়ির সবাইকে অনেক আবেদন করে তাঁদের সংসারে ভাঙন রোখার জন্য। কিন্তু কেউ কিছু করেন।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিন তালাক নিষিদ্ধ করার জন্য উঠে পড়ে আগে। মোদী সরকারের প্রথম কার্যকালে তিন তালাক বিল তিনবার লোকসভা থেকে পাশ করালেও, রাজ্যসভায় গিয়ে থমকে যায়। কিন্তু এবার মোদী সরকার আবার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যসভা এবং লোকসভা থেকে তিন তালাক বিল সহজেই পাশ করিয়ে নেয়। এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের থেকে শেষ অনুমতি নিয়ে এই বিল আইন হিসেবে লাগু করতে চলেছে মোদী সরকার।