দু’দিন আগে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ সিআরপিএফ জওয়ান। আর এই হামলার পিছনে পাক জঙ্গি মুস্তাক আহমেদ জারগারকেই সন্দেহ করছে গোয়েন্দারা। পাক জঙ্গি সংগঠন আল-উমর-মুজাহিদিনের মাথা এই জঙ্গিনেতা। এই সংগঠনই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
২০ বছর আগে ভারতে বন্দি ছিল এই মুস্তাক আহমেদ জারগার। বিমান হাইজ্যাকের ঘটনার জেরে যে সময় মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেয় ভারত, সেইসময়েই ছাড়া পেয়েছিল এই জারগার। কান্দাহারে ভারতীয় বিমান হাইজ্যাক করে ভারতের জেলে বন্দি থাকা জঙ্গিদের ছাড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। আর তখনই মাসুদ আজহার, উমর সইদ শেখ ও এই মুস্তাক আহমেদ জারগারকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ভারত সরকার।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে এই হামলা চালিয়েছে জারগার ও তার দলের লোকজন। তবে জারগারের সংগঠনের তেমন কোনও প্রভাব নেই কাশ্মীরে। তাই গোয়েন্দাদের অনুমান তাকে সাহায্য করেছে হিজবুল মুজাহিদিন কিংবা জয়েশ-ই-মহম্মদ।
বালাকোটে যে জঙ্গিদের ট্রেনিং ক্যাম্পে বোমাবর্ষণ করেছিল বায়ুসেনা। সেখানেই এই জারগার ট্রেনিং দিত বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, অনন্তনাগে এই জঙ্গি হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ তিনি জানান, অনন্তনাগে যে ফিঁদায়ে হামলা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে পাকিস্তান৷ সত্যপালের কথায়, উপত্যকায় লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ হোক তা চায়নি সন্ত্রাসবাদীরা৷ অথচ ভোটে এখানে তেমন গন্ডগোল বাধেনি৷ পাকিস্তানে বসে থাকা জঙ্গি সংগঠনের নেতারা এটাকে ভালো চোখে নেয়নি৷ অনন্তনাগে হামলার আগে পাকিস্তান থেকে নির্দেশ এসেছিল বলে দাবি রাজ্যপালের। উপত্যকা একটু শান্তি ফিরে এলে পাকিস্তান উঠে পড়ে লাগে ভূস্বর্গকে অশান্ত করে তুলতে, সেই জন্য এই হামলা বলে মনে করছেন তিনি৷
আর কিছুদিন বাদে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা৷ অনন্তনাগের হামলার পর তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ কারণ যেখানে হামলা হয়েছে সেই পথেই অমরনাথ যান তীর্থযাত্রীরা৷ এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপালের জবাব, নিরাপত্তা বাহিনী তীর্থযাত্রীদের কাছে যাবে না৷ তবে অভয় দিয়ে জানান, অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই৷
কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে পাঁচ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন৷ নিকেশ হয়েছে এক জঙ্গি৷ দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়৷ কেপি রোডের বাস স্ট্যাণ্ডের কাছে এই হামলা হয়৷ এতে, পাঁচ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন৷ সিআরপিএফের টহলদারি টিমের ওপর এই হামলা চলে৷ সদ্দর পুলিশ স্টেশনের এসএইচওর বুকে গুলি লাগে৷ আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি তিনি৷ দুই সশস্ত্র জঙ্গি এই হামলা চালায়৷ একজনকে গুলি করে মারা হয়৷