আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে গত ২১ জুন থেকে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু এখনও বহু মানুষ টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন। রবিবার মন কি বাত-এ এমনই কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের ও তাঁর মায়ের কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বোঝালেন, আশঙ্কা অহেতুক, টিকা নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই।
মধ্যপ্রদেশের বইকুল জেলার দুলারিয়া গ্রামের টিকাকরণের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে মোদি কথা বলেন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে। টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি নিজে টিকার দুটি ডোজ নিয়েছি। আমার মায়ের ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স। তিনিও টিকা নিয়েছেন। আপনারা ভয় পাবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকা নিন।’
প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে মেগা-টিকাকরণের প্রথম দিনেই রেকর্ড গড়েছে ভারত। একদিনে সর্বোচ্চ টিকাকরণের নজির গড়েছে দেশ। গত ২১ জুন ৮০ লাখেরও বেশি ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ ভ্যাকসিনেশনের পরিসংখ্যান। গণ-টিকাকরণের এমন সাফল্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছিলেন উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের নিজেই প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের সাফল্য হল, আমার থেকেও বেশি আপনারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। কথা বলেন।’ এরপর চেন্নাইয়ের এক বাসিন্দার পাঠানো চিঠি পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। আমার কাজে কোনও খামতি থাকবে না।’
অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এদিন আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির পরামর্শ, দেশবাসী যেন এই অলিম্পিকে যাওয়া খেলোয়াড়দের উপর চাপ সৃষ্টি না করেন। স্লোগান তোলেন ‘চিয়ার ফর ইন্ডিয়া।’
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দ্রুত টিকাকরণ সম্পন্ন করাতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মোদি সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ১৮ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে টার্গেট নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে টিকাকরণের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছে আরও স্বাস্থ্যকর্মীকে।