অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির থেকে ৩০ কিমি দূরে মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমি চিহ্নিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই জমি এবার সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অযোধ্যা পুরসভার ধন্নিপুরে মসজিদ তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই অযোধ্যাতেই মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদের জন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। অযোধ্যা জেলারই সোহাওয়াল তহসিলের অন্তর্গত ধন্নিপুর গ্রামে এই জমি রয়েছে। অযোধ্যায় প্রস্তাবিত রাম মন্দির থেকে এই জমির দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
লখনউ হাইওয়ের পাশেই রয়েছে এই ধন্নিপুর গ্রাম। এদিকে মসজিদের জন্য জমি চিহ্নিত হলেও এই জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নেবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
জমি চিহ্নিতকরণে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই ভূমিকা নিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠক ডেকেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সেই বৈঠকেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে অযোধ্যা মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে কোনও আবেদন করবে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
কয়েক দশক ধরে অযোধ্যার জমি নিয়ে মামলা চলে আদালতে। অবশেষে ২০১৯ সালের নভেম্বরে অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু মামলাকারীকে দেওয়ার পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্দির তৈরির জন্য ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট বানানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবারই সেই ট্রাস্ট তৈরির ঘোষণা সংসদে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরির ঘোষণা করেছেন মোদী। এই ট্রাস্টই অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে যাবতীয় পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।