প্রয়োজনে আমেরিকা মধ্যস্থতা করবে। আর সেই আবেদন নাকি করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকা যাওয়ায় এমনটাই বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইমরান খান। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক। ভারত বারবার অস্বীকার করেছে ট্রাম্পের দাবি। তাঁর কাছে মধ্যস্থতা করার কোনও আর্জি জানানো হয়নি বলেও উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রক।
তবে এবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মোদী। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে বসে সেই বার্তা দিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানালেন, ‘ভারত-পাক ইস্যুতে কারও মধ্যস্থতার দরকার নেই’।
G-7 সামিতে যোগ দিতে আপাতত ফ্রান্সে রয়েছে মোদী ও ট্রাম্প। সামিটের ফাঁকে সেখানেই আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। আর সেখানেই পাকিস্তানকে আরও খানিকটা কোনঠাসা করে মোদী কূটনৈতিক জয় নিয়ে এলেন ভারতের পক্ষেই। বুঝিয়ে দিলেন ভারত-পাক ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষকে বরদাস্ত করা হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন মোদীর মুখোমুখি বসে বলেন, ‘কাল আমাদের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কথা হয়েছে। মোদী জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে আছে। আমার বিশ্বাস ভারত-পাকিস্তান ভালো কছু করবে।
আর ট্রাম্পের ঠিক পাশে বসে ভারতের অবস্থানটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কার্যত কাশ্মীর সমস্যাকে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বলে উল্লেখ করে তিনি ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের সব সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিলেন। বললেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক ধরনের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আছে। কোনোটাতেই আমরা তৃতীয় কোনও দেশকে বরদাস্ত করব না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করব।’
একইসঙ্গে ইমরান খান পাকিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর যে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মোদী, সেকথাও উল্লেখ করলেন এদিন।
ইমরানের মার্কিন সফরের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আমার সাহায্য চেয়েছেন৷ এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারলে আমি খুবই খুশি হব। আমি দুই দেশের মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি।”
তবে এই ধরণের কোনও কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেননি বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক৷ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে বিবৃতি দিয়ে বলেন, “এই সমস্যা ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন সমস্যা, যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনাতেই মিটবে। তৃতীয় কোন হস্তক্ষেপের সেখানে প্রয়োজন নেই। এদিন সেই বার্তাই আরও স্পষ্টভাবে দিয়ে এলেন মোদী।