কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই ২ দিনের ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ পৌঁছে যান ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এবার জানা গেল সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমে তাঁর সঙ্গে মায়ানমার সফরে যেতে চলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Manoj Mukund Naravane)। এই সফরে দু’দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া প্রকল্পগুলি নিয়ে কথা হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এই সফরের ফলে মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে চিন্তায় পড়েছে বেজিং।
সূত্রের খবর, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতেই এই সফর। যৌথ উদ্যোগে চলা প্রকল্পগুলির বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি মায়ানমার (Myanmar) -এর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন আং হিলাংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন শ্রিংলা ও নারাভানে। মায়ানমারের পশ্চিম সীমান্তে যেভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে সেটা রুখতে তাঁর সাহায্য চাওয়া হবে। মায়ানমারের দুটি কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি যেভাবে নাশকতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হবে।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য মিজোরামের কালাদান নদীর উপর দিয়ে মাল্টি মডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট বানাচ্ছে ভারত। আর এই প্রকল্পের কাজকে বন্ধ করতেই উঠে পড়ে লেগেছে আরাকান আর্মি (Arakan Army)। চিনের মদতপুষ্ট কাচিন আর্মির সাহায্যে ওই প্রকল্পের কাজে বাধা দিচ্ছে। সেখানে কর্মরত মানুষদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে নাশকতার কাজে মদত দিচ্ছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে মায়ানমারের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।