গত মে মাস থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত পড়ছে ড্রাগনের উষ্ণ নিঃশ্বাস৷ একাধিকবার সীমান্তে ঘটেছে চিনা আগ্রাসন৷ হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যেও লাদাখ সীমান্ত আগলে রয়েছে ভারতীয় সেনা৷ এই পরিস্থিতির মধ্যে লাল ফৌজকে প্রতিহত করতে সেনা আধিকারিকদের তিব্বতের ইতিহাস জানার পরামর্শ দেওয়া হল৷
জানা গিয়েছে, সেনা অফিসারদের তিব্বতের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভাষা শেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ চিনের প্রভাব ও প্রোপাগান্ডা রুখতেই এই পদক্ষেপ৷ অক্টোবর মাসে সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনে প্রথম শুরু করা হয়েছিল৷ এর পর সেনা প্রধান জেনারেল এমএম নারাভানের নির্দেশে ফের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়৷
এক সেনা কর্তার কথায়, সেনা অফিসাররা সাধারণত পাকিস্তান সম্পর্কে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল৷ কিন্তু একইভাবে চিন ও চিনা মানসিকতা সম্পর্কে অপরিচিত তাঁরা৷ চিনকে খুব ভালো ভাবে বোঝে এমন অফিসারের সংখ্যা সত্যই খুব কম৷ তিব্বত সম্পর্কে ধারণা আরও কম৷ এই খামতি দূর করার প্রয়োজন রয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, ম্যান্ডারিনের উপর মাত্র দু’বছরের কোর্স করলেই কোনও অফিসার চিন সম্পর্কে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবেন৷
ট্রেনিং কমান্ড (ARTRAC) অনুমোদিত সাতটি প্রতিষ্ঠানে টিবেটোলজির কোর্স করানো হয়৷ স্টাডি লিভ নিয়ে সেনা অফিসাররা এই কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন৷ অথবা এখানে ছোট কোর্সও করা যেতে পারে৷ যে সকল প্রতিষ্ঠানে এই কোর্স করা হয় সেগুলি হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, বারাণসীর সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর হায়ার টিবেটান স্টাডিজ, বিহারের নবনালন্দা মহাবিহার, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বেঙ্গালুরুর দলাই লামা ইনস্টিটিউট ফর হায়ার এডুকেশন, গ্যাংটকের নামগয়াল ইনস্টিটিউট অফ টিবেটোলজি এবং অরুণাচল প্রদেশের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান কালচার স্টাডিজ৷
প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়৷ গত জুন মাসে গাওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় সেনা৷ এর পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে৷ একাধিকবার সীমান্তে ঘটে গিয়েছে চিনা আগ্রাসন৷ একাধিকবার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র৷