অনেকদিন ধরেই দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের আইনের (Population Control Law ) দাবি করা হচ্ছে। দেশের অনেক রাজ্যে হিন্দু অল্পসংখ্যক হয়ে গেছে। দেশে ৪ করে বিবি ও ১৬ টা বাচ্চা নেওয়ার দ্বারা জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটানোর যে চক্রান্ত চলছে, তার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি নিয়ে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় নিজের চিঠিতে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ এর কাছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে।
জানিয়েদি কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরীরাজ সিং ” জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন ” এর বিষয়কে নিয়ে টুইট করে বলেছিলেন যে বাড়ন্ত জনসংখ্যা দেশের বিকাশের জন্য বাধা। উনি বলেছেন যে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ভারতের বিকাশ ও সামাজিক সাদৃশ্যতে বাধার কারণ। এর আগে যোগগুরু স্বামী রামদেবও বলেছিলেন যে ভারত জনসংখ্যা বিস্ফোরণ এর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তৈরি নয়। দেশের জনসংখ্যা ১৫০ কোটির বেশি হতে দেওয়া হবে না। উনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ” এটি তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা তৃতীয় সন্তান বা এর পরের সন্তানদের মতঅধিকার বঞ্চিত করার আইন লাগু করবো।”
এইসব বাচ্চাদের নির্বাচন লড়ার বা অন্য সরকারি চাকরির অধিকার থেকেও বঞ্চিত করতে হবে। উনি বললেন যে ইনফাস্ট্রাকচার এরকম নয় যে এত বড় জনসংখ্যাকে সামলাতে পারবে, এই জন্য দেশে দুটি বাচ্চার আইন বানানো দরকার। যৌথ ভারতের অনুমান অনুযায়ী, ২০১৭ তে ভারতের জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন ছিল ও ২০২৪ অব্দি চীনের থেকে আগে বেরিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এখন বিজেপির মধ্যেই এই বিল আনার উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে।