চিনকে কড়া টক্কর দিতে রীতিমতো প্রস্তুত ভারত। লাদাখে এলএসি (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) বরাবর চিন কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে থাকলে, ভারতও ততটাই মোতায়েন করে দিয়েছে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হলেও, আলোচনা বন্ধ হয়নি। শনিবার কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক বসতে চলেছে। সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এই স্তরের বৈঠক ভারত-চিনের মধ্যে বিরল। অর্থাৎ আলোচনায় সমস্যা মিটতেই পারে। কিন্তু, শনিবার সীমান্তে বড় বৈঠকের প্রাক্কালে এলএসি-তে বাড়ছে উড়ান গতিবিধি। গতিবিধি বাড়াচ্ছে চিন। সম্ভবত যুদ্ধ্যাভ্যাসের মহড়া দিচ্ছে! ভারত কিন্তু সদা প্রস্তুত। সামগ্রিক পরিস্তিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ১৪ কোর-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং (Harinder Singh)।
শনিবার কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক বসছে ভারত ও চিনের মধ্যে। লাদাখের চুসুলে এই বৈঠক হবে। লেহ্ জেলার মধ্যে পড়ে চুসুল। অবস্থান প্যাংগং-এর দক্ষিণ দিকে এবং একেবারে এলএসি-র গায়ে। যে বৈঠক সেখানে হবে শনিবার, তা কিন্তু ভারত-চিনের মধ্যে বিরল। সীমান্ত বিরোধে বার বার স্থানীয় স্তরের আধিকারিকদের মধ্যেই বৈঠক হয়। বড় সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রে খুব বেশি হলে ডিভিশনাল কম্যান্ডার অর্থাৎ মেজর জেনারেল র্যাঙ্কের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। এই প্রথম কোর কম্যান্ডার স্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে বসছেন। অর্থাৎ ট্যাকটিক্যাল লেভেল মিটিং নয়, তার চেয়ে অনেক বড় স্তরের মিটিংয়ে বসছে দু’দেশের সামরিক বাহিনী।
ভারত এবং চিনের সীমা যেখানে মিশছে, অরুণাচল থেকে লাদাখ পর্যন্ত সেই বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়েই নানা এলাকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এলএসি বলে ভারত যে রেখাকে মানে, অনেক জায়গাতেই চিন সেই রেখাকে মানে না। এলএসি আসলে কোনটা, তা নিয়ে ভারত এবং চিনের ধারণায় ফারাক রয়েছে বলে অনেকের মত। এলএসি-তে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) বা আদর্শ আচরণ বিধি তৈরি করে রেখেছে দু’দেশ মিলেই।