চিনের সঙ্গে পঞ্চম দফার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে প্যাংগং ঝিল থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব ভারত। রবিবার রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে পর্যন্ত মলডোতে চলে ম্যারাথন এই বৈঠক। প্রায় ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে প্যাংগং ঝিল থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়ে ওঠে ভারত। এর আগে ৩০ জুলাই ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল পূর্ব লাদাখে বিতর্কিত এলাকায় থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন। কিন্তু যে আশা করা হয়েছিল তেমনভাবে প্রত্যাহার করেনি চিন।বিতর্কিত এলাকাগুলির থেকে নামমাত্র সেনা এবং সমরাস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে লাল ফৌজ। কিন্তু পুরোপুরি সেইসব এলাকা ছেড়ে যায়নি তারা। উল্লেখ করা যেতে পারে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র থেকে দেখা গিয়েছে যে নিজেদের সীমান্তবর্তী এয়ারবেসে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে চিন।অন্যদিকে পুরো মাত্রায় লাল ফৌজ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পূর্ব লাদাকে সুখোই ৩০ এম কে আই, মিগ ২৯, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ মত যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে ভারত। আকাশপথে পদাতিক সেনাকে রক্ষা করার জন্য চক্কর কাটছে কমব্যাট শ্রেণীর অ্যাপাচি হেলিকপ্টার। রবিবারের বৈঠক শুরু হয় সকাল ১১ টা নাগাদ। ভারতীয় সেনা বাহিনীর তরফ থেকে এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন লেফটেনেন্ট জেনারেল হারিন্দর সিংহ। চীনের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল লিউ লিন। বৈঠকে প্যাংগং ঝিল ছাড়াও ডেপসাং সমভূমি এবং গোগ্রা হট স্প্রিং থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চিনকে বলে ভারত।১৪ জুলাইয়ের বৈঠকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয় চিন। কিন্তু পুরোটাই থেকে যায় খাতায়-কলমে। উল্টে এইসবের এলাকায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করে লালফৌজ। প্যাংগং ঝিলের ফিঙ্গার পয়েন্ট চার থেকে আট পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে স্থায়ী সামরিক নির্মাণ করেছে চিন। ফিঙ্গার পয়েন্ট চার থেকে কিছুটা সেনা সরিয়ে নিয়ে গেলেও পুরোপুরি সৈন্যসমাবেশ তুলে নেয়নি লালফৌজ। ভারতের দাবি ফিঙ্গার পয়েন্ট চার থেকে আট পর্যন্ত সেনা সরিয়ে নিতে হবে চিনকে।
2020-08-03