চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যদি লাদাখের সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে ভারতের সামনে সেনা অভিযানের রাস্তা খোলা আছে। কোনও রাখঢাক না করে প্রতিবেশী দেশকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। তবে, এই মুহূর্তে ভারত এবং চিনের আলোচনা কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সেনা সর্বাধিনায়ক।
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, প্যাংগং লেকের (Pangong Tso) ধারে ৫ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত মজবুত ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিন। সেখান থেকে সরার নামগন্ধ নেই। জুলাইয়ের শেষে পাওয়া উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এই ছবিটাই সামনে এসেছে। বলা যেতে পারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। দেখা গিয়েছে, প্যাংগংয়ের ৫ ও ৬ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন। একইসঙ্গে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, উপগ্রহ ছবি বলছে, ওই এলাকায় সেনা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিনারা। আসলে চিনের দাবি, তারা প্যাংগংয়ে, দেপসাংয়ে এখনও যতটা ঢুকে বসে রয়েছে সেটাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। এর আগে একাধিক দফার আলোচনায় ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চিনাদের নিজেদের এলাকায় ফিরে যেতে হবে এবং এপ্রিল মাসের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে।
জুনে ভারত এবং চিনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু লাভ তেমন একটা হয়নি। গালওয়ান এলাকায় সেনা প্রত্যাহার করলেও প্যাংগং, হটস্প্রিং এলাকায় চিনা সেনা অনড়। দুই দেশের সর্বশেষ বৈঠকে চিনারা প্যাংগংয়ে ভারতীয় সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য নয়া শর্ত দিয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাসের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে না দিলে ভারতের পক্ষে চিনের কোনও শর্ত মানা সম্ভব নয়। কিন্তু তাতেও চিনারা সরতে নারাজ। এরই মধ্যে সেনা সর্বাধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজন পড়লে সেনা অভিযানেও নামতে পারে ভারত। সংবাদসংস্থা এএনআইকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জানিয়েছেন, “লাদাখে চিনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে সেনা অভিযানের বিকল্প খোলা আছে। তবে, সেটা কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর। “