ভারত সরকার অসমে ব্রহ্মপুত্র নদীর নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। সেনার বাহন,অস্ত্র ইত্যাদি যাতে বিনা বাধায় নিয়ে যাওয়া আসা হয় তার জন্যেই সুড়ঙ্গ তৈরির যোজনা করছে ভারত সরকার। সেনার এক আধিকারিক জানান এই সুড়ঙ্গ তৈরির উদেশ্য আসাম-অরুণাচল প্রদেশ ও চীনের সাথে জুড়ে থাকা বর্ডার LAC (Line of Actual Control) তে রণনৈতিক সেতু তৈরি করা। সেনা আধিকারিক দাবি করেন সুড়ঙ্গ সৈনিক সমূহকে সুরক্ষার গ্যারান্টি দেবে। যেহেতু ব্রহ্মপুত্র নদীর গভীরতা পরিবর্তন হতে থাকে তাই নদীর নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা সবথেকে ভালো বিকল্প।

এই যোজনার বিস্তৃত রিপোর্ট এখনো তৈরি করা হয়নি কিন্তু একটা ম্যাপ সার্ভে করে নেওয়া হয়েছে। এক অন্য সেনা আধিকারিক বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীর নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা সম্ভব। আমার রিভার বেড থেকে ২০-৩০ মিটার নিচে বা তার থেকেও বেশি নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম। উনি বলেন, নির্মাণ কাজের উপর একটা সার্ভে করা হয়েছে যার মাধ্যমে সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক এর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। দুই ধরনের নেটওয়ার্ক এর জন্য বিশেষ করে রেল নেটওয়ার্কের জন্য বিশেষভাবে কার্য করতে হবে।
ব্রহ্মপুত্র নদীর কারনে সেনার আবগমনের উপর বাধা সৃষ্টি হয়। এখন এই সুড়ঙ্গ তৈরি হলে RALP (Rest of Arunachal Pradesh) পর্যন্ত আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকবে না। অরুনাচলের দিব্যাং ঘাঁটি এবং আসামের মধ্যে দেবপানি পুল রয়েছে। কিন্তু সেখানে শত্রুপক্ষের মিসাইলের বিপদ রয়েছে। জানিয়ে দি, ভারত সরকার চীনের উপর নীতি বদলে নিয়েছে। আগে ভারত চীনের প্রতি ডিফেন্স মুডে থাকতো।
কিন্তু বর্তমানে ভারত অফেন্সিভ মুডে রয়েছে যার জন্য সরকার ভারতের সৈন্য ক্ষমতা চীনের থেকে শক্তিশালী করার জন্য জোর দিচ্ছে। আগে ভারত শুধুমাত্র মাত্র পাকিস্তানেই উপর লক্ষ রেখে শক্তিবৃদ্ধি করত কিন্তু এখন চীনকে মাথায় রেখে শক্তি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নির্মাণ হোক বা বিগত বছরে এক্সারসাইজ বাহুবলি হোক সবকিছুই চীনকে টক্কর দেওয়ার জন্যেই করা হচ্ছে।