কোনো দেশ যখন আমদানি বেশি করে রপ্তানি কম করে তখন সেই দেশের অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকে। এখন এক্ষেত্রে ভারতের জন্য সু-খবর আসতে শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ভারত সরকার রপ্তানির দিক দিয়ে দুর্দান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। সরকার আর্থিক বছর 2018-19 বিদেশি ব্যাবসা পরিসংখ্যান প্রকাশিত করে দিয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, রপ্তানির দিক দিয়ে 9 শতাংশ এর বার্ষিক বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। রপ্তানি এখন ৩৩১ বিলিয়ন ডলার পৌঁছেছে। গত বছর যা ৩০৩ বিলিয়ন ডলার ছিল। খবর এটাও আসছে যে, 2013-14 এর রেকর্ডও ভেঙে গেছে। মার্চ মাসে 11 শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি হয়েছে। এটি অক্টোবর 2018 পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। ২০১৮ তে মাসিক রপ্তানি 17.86 শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত।
খবর অনুযায়ী, ফার্ম, প্রকৌশল, টেক্সটাইলস, ড্রাগস ও পেট্রোলিয়াম ভারতে উচ্চমাত্রার রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে বলেন, “বৈশ্বিক মন্দা হিসাবে বড় আকারে পতন ঘটার পরও বাণিজ্য রপ্তানির দিক দিয়ে 2018-19 , ৩৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌছেছে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তর। এটা 2013-14 এর 314.4 বিলিয়ন ডলারের স্তর থেকে এগিয়ে গেছে। এই অর্জনটি বিশ্বব্যাপী চূড়ান্ত খ্যাতি অর্জন করেছে বলে খবর। ”
আর্থিক দিক থেকে এটা ভারতের জন্য বড়ো সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। ইকোনমিস টাইমের খবর অনুযায়ী, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে ট্রেড যুদ্ধ চলছে তার পূর্ন সুযোগ তুলছে ভারত। চীন ভারত থেকে যে পরিমান লাভ উঠিয়ে নিচ্ছে তার থেকে বেশি পরিমাণ লাভ তোলার জন্য ভারত এবার একটা সূচি তৈরি করেছে। সূচিতে সেই সব পণ্যের তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেগুলোর চাহিদা চীনে বেশি।
জানিয়ে রাখি বাণিজ্য ঘাটতিও কমে গেছে। মার্চ 2018 সালে বাণিজ্য ঘাটতি 13.51 বিলিয়ন ডলার ছিল যা এখন হ্রাস পেয়ে 10.89 বিলিয়ন ডলার হয়েছে। স্বর্ণের আমদানিও বৃদ্ধি ঘটেছে। এটি 31.22 শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 3.27 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।বিগত বছরে কাঁচা তেল আমদানি 5.55 শতাংশের ঝুঁকি নিয়ে 11.75 বিলিয়ন ডলার ছিল।
যদি পুরো বছরের 2018-19 মাসে আমদানির কথা বলা হয় তবে এটি 8.99 শতাংশ বেড়ে 507.44 বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে 2016-17 থেকে মোট রপ্তানি (পণ্য ও সেবা মিলিত) ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি হয়েছে । সূত্রের খবর অনুযায়ী, 2018-19 এই প্রথম বার 500 বিলিয়ন ডলারের অঙ্ক অতিক্রম করেছে।