ফের সোমবার সকালে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এদিন ভোর রাত থেকেই চলছে এনকাউন্টার। সেখানেই চারজন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। তাই রবিবার থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াইয়ে অর্থাৎ শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় গুলির লড়াইয়ে ৯ হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনা যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে সোপিয়ান জেলার পিঞ্জোরা এলাকায়। সেখানে চলছে তল্লাশি অভিযান।
ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া এনকাউন্টার এখনও চলছে তবে এরইমধ্যে সাফল্য পেয়েছে সেনা। সোমবারের চিত্রটাও রবিবারের মতোই। ভোরের শান্ত পরিবেশ ভেদ করে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙল ভূ-স্বর্গের।
রবিবার দিনের শুরু থেকেই সেনা-জঙ্গি লড়াই নিয়ে উত্তপ্ত ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। পরে জানা যায়, টানা গুলির লড়াইয়ের পর পাঁচজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা।
ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এদিনের অপারেশনে পাঁচজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন তবে তাঁদের কারোর পরিচয় বা কোন দলের সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ওই পাঁচজনের মধ্যে টপ কম্যান্ডার আছেন তবে মনে করা হচ্ছে তাঁরা প্রত্যেকেই হিজবুল মুজাহিদিনের অংশ ছিলেন।
রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের জাইনাপোরা বেল্টের সোপিয়ান জেলার রেবান জেলায় এনকাউন্টার শুরু হয় সেখানেই জঙ্গিদের নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে।
এও জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ১৭৮ ব্যাটেলিয়ন, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও স্পেশাল অপারেশন টিম একজোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। এই সময়ই জঙ্গি ও বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।
শুক্রবারেও কাশ্মীরের রাজৌরির কালাকোটে বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ ১ জঙ্গি। খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এই এনকাউন্টারে ওই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।
গত সপ্তাহেই সেনার হাতে খতম হয় তিন জইশ জঙ্গি। কাশ্মীরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। বুধবার সকালে জঙ্গি ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ হয় তিন জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি। কঙ্গন এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপন করে থাকার খবর পেয়েই তল্লাশি চালাতে শুরু করে সেনা।
সূত্রের খবর, রবিবার যে পাঁচজনকে নিকেশ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজন টপ কম্যান্ডার আছেন, মনে করা হচ্ছে তাঁরা প্রত্যেকেই হিজবুল মুজাহিদিনের অংশ ছিলেন।