২৩টি পণ্য বহনকারী ট্রাকে ৫৭ টন শুকনো ফল, বস্ত্র, কার্পেট এবং খনিজ দ্রব্য পশ্চিম আফগান শহর জারানজ থেকে ইরানের চাবাহার বন্দরে পাঠানো হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সেখান থেকে এক পণ্যবাহী জাহাজে করে তা ভারতের মুম্বাই বন্দরে পৌঁছাবে। চাবাহার বন্দর ব্যবহার করে এই প্রথম আফগানিস্থান ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে চলেছে।
আফগানিস্থান থেকে ইরান হয়ে ভারতে পণ্য পাঠানোর নতুন রপ্তানি রুট উদ্বোধনকালে সেদেশের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কম করার জন্য আফগানিস্তান তার রপ্তানিকে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলছে।

গনি আরো বলেন, চাবহার বন্দর হচ্ছে ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সুস্থ সহযোগিতার ফল যা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতিকে নিশ্চিত করবে।
ইরানের বন্দরটি আফগানিস্তানকে সহজে সমুদ্রপথে প্রবেশর সাহায্য করে। ভারত এই রুটটি উন্নত করতে সহায়তা করেছে, যাতে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই উভয় দেশ বাণিজ্য করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এই নতুন পরিবহন করিডোরের অংশ হিসাবে চাবহার বন্দরের উন্নয়নের অনুমতি আগেই দিয়েছে। এর ফলে খাদ্য ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আফগানিস্তানের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
ইতিমধ্যে চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত ১.১ মিলিয়ন টন গম এবং ২০০০ টন ডাল আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে।
উভয় দেশ ২০১৭ সালে একটি এয়ার করিডোর প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০১৮ সালে রপ্তানী ৭৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ভারতকে আফগানিস্তানের এটি বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্যে পরিনত করেছে।