প্রয়াত হলেন কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কেরলের রাজ্যপালও হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেছিল। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তিনি দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী হন। অর্থাৎ বয়স হলেও তিনি রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়।
শনিবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে তিনি মারা যান।
১৯৩৮ সালের ৩১ মার্চ পাঞ্জাবের কপূরথালায় এক পাঞ্জাবী ক্ষত্রী পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তখন তাঁর নাম ছিল শীলা কপূর। দিল্লিতে কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড মেরি স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেন। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস এমএ পাশ করেন।
তাঁর স্বামীর নাম বিনোদ দীক্ষিত। তাঁর বাবা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল উমাশংকর দীক্ষিত। তিনি আইএএস অফিসার ছিলেন। ট্রেনে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ভ্রমণ করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর দু’টি সন্তান আছে। ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত ইস্ট দিল্লি কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছিলেন। মেয়ের নাম লতিকা সৈয়দ।
১৯৮৪ থেকে ’৮৯ পর্যন্ত শীলা দীক্ষিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের কনৌজের সাংসদ। ওই সময় তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে কমিশন অন স্ট্যাটাস অব উইমেন-এ ভারতের প্রতিনিধি হন। পরে তিনি কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরে দিল্লির বিধানসভা ভোটে তিনি আম আদমি পার্টির কাছে পরাজিত হন। তাঁর জায়গায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হল আপের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
২০১৪ সালের মার্চে তিনি কেরলের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। কয়েকমাস পরেই অবশ্য ইস্তফা দেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। তিনি বলেন, শীলা দীক্ষিতজির মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীর দুঃখ পেয়েছি। তিনি ছিলেন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। দিল্লির উন্নয়নে তাঁর বিশেষ ভূমিকা আছে। তাঁর পরিবারের সদস্য ও অনুগামীদের প্রতি সহানুভূতি জানাই।
যাঁর কাছে তিনি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, সেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এইমাত্র শীলা দীক্ষিতজির মৃত্যুর খবর পেলাম। তাঁর মৃত্যুতে দিল্লির বিরাট ক্ষতি হল। তাঁর আত্মার শান্তি হোক।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, শীলাজির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছি। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল।