বিরোধী রাজনৈতেক দল গুলি একটি কল্পনিক কহিনী প্রচার করে যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার চাকরি তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ইপিএফওর তথ্য থেকে জানা যায় যে, গত ১৭ মাসে দেশে মোট ৭৬.৪৮ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে এবং শুধু জানুয়ারীতেই চাকরি হয়েছে ৮.৯৬ লক্ষ।
তথ্য অনুযায়ী গত ১৭ মাসে ৭৬.৪৮ লক্ষ চাকরি তৈরি করা হয়েছে, যা একটি বিশাল সংখ্যা। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ২৭৫,৬০৯ টি চাকরি তৈরি করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) এর সামাজিক নিরাপত্তা পরিকল্পনায় প্রায় ৭৬.৪৮ লক্ষ নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে। তথ্যটিও আরো উল্লেখ করেছে, “২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ২২-২৫ বছর বয়সী গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ ২.৪৪ লক্ষ চাকরির , আর ১৮-২১ বছর বয়সীদের বিভাগে ২.২৪ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে”।
133022876BC021_Daily_Life_I
ইপিএফও বলেছে যে জানুয়ারিতে যে চাকরি সৃষ্টি হয়েছে তা কেবলমাত্র সংগঠিত ক্ষেত্রে। ২০১৮র এপ্রিল মাসে ইপিএফও তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে এটি প্রতি মাসে প্রকাশ করা হয়। নিয়মিত আপডেট প্রমাণ করেছে যে প্রতি মাসে প্রায় এক মিলিয়ন চাকরি সৃষ্টির লক্ষ্য স্পর্শ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা প্রকল্পের কারণে বিপুলসংখ্যক ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেছেন। সুতরাং যখন ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে, চাকরিও অবশ্যই বাড়বে। সাম্প্রতিককালে ১,০৫,৩৪৭ টি মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সংস্থা (এমএসএমই) র সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত চার বছরে গড়ে বার্ষিক ৩.৩% হারে ১৩.৯% কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে ২০১৪ সাল থেকে এমএসএমই মোট ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য যে এই চাকরিগুলি কেবলমাত্র সংগঠিত ক্ষেত্রে তৈরি হলেও ভারতে এমন আরও কয়েকটি কাজের ক্ষেত্র রয়েছে যা সংগঠিত নয়। তাই যদি আমরা ঐসব তথ্য যোগ করি, তাহলে ভারতে তৈরি হওয়া কর্মসংস্থানের সংখ্যা মোদি বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেবে।