সাত সকালে জঙ্গিদের শুরু হল এনকাউন্টার। শনিবার বেশ সকালের দিকে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে একদল জঙ্গির।
ঘটনাটি জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার তানিওয়াগা গ্রামের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভির রাতে ওই গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা জানতে পারে পুলিশ। সেই অনুযায়ী শুরু হয় অভিযান।
শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সমগ্র তানিওয়াগা গ্রাম ঘিরে রেখেছে সেনা এবং পুলিশের জওয়ানেরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঠিক কতজন জঙ্গি রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
বৃহস্পতি এবং শুক্রবারের মধযে ওই রাজ্যে তিন এনকাউন্টারে মট ছ্য জংগির প্রান গিয়েছিল। একই সঙ্গে পাকড়াও করা হয়েছিল এক জঙ্গিকে। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি আমেরিকান এম৪ স্নাইপার ও একে ৪৭ রাইফেল৷ এই ঘটনায় আরও একবার উঠে এল পাক যোগ৷ সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক এম৪ স্নাইপার পাকিস্তানে বেশি ব্যবহৃত হয়৷
শুক্রবার বুদগাম জেলায় দুই জঙ্গিকে খতম করে সেনাবাহিনী৷ মৃত জঙ্গিরা জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের সদস্য৷ জানা গিয়েছে, বুদগামের সুসতু গ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াই বাঁধে৷ কয়েকঘণ্টা বাদে দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়৷ দু’পক্ষের লড়াইয়ের সময় পাঁচ জওয়ান আহত হয়৷ বুদগাম থেকে একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী৷
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সোপিয়ান ও কুপওয়ারাতে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই বাঁধে৷ এই দুটি জায়গা মিলিয়ে চার জঙ্গি খতম হয়৷ সেখান থেকে উদ্ধার হয় এ৪ স্নাইপার রাইফেল৷ এম১৬এ২ রাইফেলের সংস্করণ এম৪ রাইফেল৷ দিন হোক কিংবা রাত কম ওজনের এই রাইফেল থেকে খুব দুর থেকে টার্গেটে আঘাত হানা সম্ভব৷ এখনও অবধি সোপিয়ানে নিহত তিন জঙ্গির নাম সামনে এসেছে৷ তারা হল, সজ্জদ খাণ্ডে, আকিব আহমেদ দার এবং বসরক আহমেদ মীর৷ মৃতরা সকলে পুলওয়ামার বাসিন্দা বলে খবর৷ এছাড়া অনন্তনাগ থেকে রামিজ আহমেদ দর নামে এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷