বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ যথেষ্ট সরগরম। বৃষ্টির কারণে কয়লার অভাব দেখা দেওয়ার ফলে এই মুহূর্তে দেশে বিদ্যুৎ সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের তরফের দাবি, কয়লা সরবরাহের সমস্যার কারণে তারা দেশে বিদ্যুতের অভাব হতে দেবে না। তাদের তরফে ভারতের কয়লা ভান্ডার নিয়ে নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমদানিকৃত কয়লা আর প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সচিব অলোক কুমার রাশিয়ার উদাহরণ টেনে বলেছেন, কয়লা সরবরাহের অভাবের সময় রাশিয়া নিজের প্রয়োজন পূরণ করতে অন্য দেশে কয়লা সরবরাহের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির একটি অনুষ্ঠানে অলোকবাবু বলেছেন, আমাদের গ্যাস আর আমদানিকৃত কয়লার ভান্ডার তৈরির পরিকল্পনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে আমরা এক বা দু মাস এই ধরনের অভাব সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি।
প্রসঙ্গত বর্তমানে কয়লার উপর নির্ভরশীল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি কয়লার অভাবে সংঘর্ষ করছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক মজুত কয়লার পরিসংখ্যান মোতাবেক, ৬১টি নন পিট হেড প্রোজেক্টে ৪ দিনেরও কম কয়লা মজুত রয়েছে। তবে মজুত কয়লার অবস্থা সামান্য উন্নতি হয়েছে, কিন্তু এখনও সংকট বজায় রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছিলেন, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে প্রতিদিন ২.২ মিলিয়ন টন করা হবে। যার ফলে জ্বালানির স্টক ১০ মিলিয়ন টনে পৌঁছতে সহায় হবে। এই মুহূর্তে মজুত কয়লার বর্তমান স্তর প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন। উল্লেখনীয় গতকিছু দিন ধরে বেশকিছু রাজ্য কয়লার চাহিদা আর সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
ভারতে প্রত্যেক বছর বর্ষার মরশুমের পর কয়লা সরবরাহ কম হওয়ার ফলে এমনিতেই বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়। ভারতে এই মুহূর্তে বেশকিছু রাজ্যে অকাল বৃষ্টি কয়লা উৎপাদনে সমস্যা তৈরি করে দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে কয়লা খনিগুলির কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই ঝাড়খণ্ডের কয়লা সরবরাহ কমে গিয়েছে।