৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর কাছে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলকে নোটিশ দিয়েছে কমিশন।
মধ্যপ্রদেশের শাহদোলে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন আইন এনেছেন, যেখানে একটি লাইনে বলা হয়েছে যে আদিবাসীদের গুলি করে মারা হতে পারে।’ এই মন্তব্যের জন্যই নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
রাহুলের ওয়ানাড়ে লড়া প্রসঙ্গে মোদী যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তা নিয়ে মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন। এরপরই রাহুলকে নোটিশ দেওয়া হল। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে, মডেল কোড অফ কনডাক্ট বলে আর কিছু নেই, সবটাই মোদী কোড অফ কনডাক্ট।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা ট্যুইট করে কটাক্ষ করেন মোদীকে।
কয়েকদিন আগেই ফের নাগরিকত্ব নিয়ে কংগ্রেসের সভাপতিকে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ভারতের নাগরিকত্ব নেই রাহুল গান্ধীর। এই অবস্থায় তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
নির্বাচন কমিশনে রাহুলের বিরুদ্ধে জমা পড়ে অভিযোগ। একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয় অভিযোগ। এক নির্দল প্রার্থীও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই নিয়ে বিঘ্নিত হয় রাহুল গান্ধীর মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়া।
এরই মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে অভিযোগ করেন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করেন। মঙ্গলবার সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নোটিশ পাঠান হয়েছে কংগ্রেস সভাপতিকে। আগামী এক পক্ষ কাল সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রেরিত নোটিশের জবাব দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে।
অন্যদিকে আবার ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।