সরকারি হাসপাতালের যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি করোনা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন এখন থেকে তাঁদের বাড়ি যেতে হবে না। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই করোনার চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তুত, টানা সাতদিন ধরে কাজ করার জেরে শারীরিক ও মানসিক চাপ যথেষ্ট হয় ফ্রন্টলাইন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। আবার সরাসরি করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমণেরও সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এমন পদক্ষেপ নিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। সব জেলাশাসক এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং জেলার সিএমএইচওদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেডিক্যাল কলেজগুলির চারপাশে প্রচুর হোটেল থাকে। থাকে খাওয়ার ব্যবস্থা মূলত, এইগুলিকেই কাজে লাগানো হবে। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই বাড়ি হাসপাতালের ধকল সামলে রোজ বাড়ি, আবার পরদিন ফের হাসপাতালে যাওয়ার ফলে শারীরিক, মানসিক চাপও অনেকটা বেড়ে যায়। এই অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ঘেরাটোপের মধ্যে ফেলা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুর (Sonarpur) অঞ্চলকে। লকডাউন কঠোরভাবে যাতে পালন হয় সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ। জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেককে লকডাউন পালন করার জন্য বলা হচ্ছে। নিয়ম ভাঙলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।