করোনার ভ্যাকসিন (Vaccine) এলেও কি সকল দেশবাসী তা পাবে? সকলকে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন কেনার টাকা কি কেন্দ্র সরকারের কাছে আছে? শনিবার সেই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন সেরাম ইন্সটিটিউটের (Serum Institute) ভারতীয় শাখার সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Punawala)। প্রসঙ্গত, সিরাম-ই ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করছে।
এদিন টুইটারে দুটি প্রশ্ন করেন পুনাওয়ালা। লেখেন, “কেন্দ্র সরকারের কাছে ৮০ হাজার কোটি টাকা আছে তো? কারণ, সকল দেশবাসীর জন্য করোনা ভ্যাকসিন কিনতে ও পৌঁছে দিতে আগামী এক বছরের মধ্যে এই অঙ্কের টাকাই প্রয়োজন।”। এই অর্থ জোগারকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সেরামের কর্ণধার। পরের টুইটে তিনি আরও লেখেন, “আমি এই প্রশ্নটা করছি, কারণ ভারতের ও বিদেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক নির্দিষ্ট গাইডলাইনস দিতে হবে। ভারতের জন্য কত টিকা প্রয়াজন, কীভাবে তা সরবরাহ হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবনাচিন্তা দরকার”।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাক্সসিনের ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। গত জুলাই মাসে পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ডের একটি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার টাকা। ভারত প্রতি মাসে ৩ কোটি ডোজ প্রতিষেধক পাবে। পুনাওয়ালার কথায়, সকল দেশবাসীর এই টিকা পেতে দু’বছর লেগে যাবে। শনিবার তিনি জানালেন গোটা প্রক্রিয়ার জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ পড়বে।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, সারা দেশে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে সরকার নির্দিষ্ট গাইডলাইনস তৈরি করছে। একই সুর শোনা গিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের গলাতেও। কিন্তু সেই গাইডলাইন মেনে প্রতিষেধক কেনার ব পৌঁছে দেওয়ার অর্থ কেন্দ্রর হাতে আছে তো? সেরাম কর্ণধারের প্রশ্নে উদ্বেগে দেশবাসী।