নাগরিকত্ব আইনের (CAA) জোরদার বিরোধিতা করছে সিপিএম (CPM)। শাহীনবাগের (Shahinbag) প্রতিও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁদের। অথচ কেরালার সিপিএম পরিচালিত সরকার নিজেদের রাজ্যে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান দেখিয়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বসা প্রতিবাদীদের হাতে উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়ে দিল।
নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতা শুরু করেছে কেরালা সরকার। কেরালার (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনায়ারি বিজয়ন সাফ বলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার যাই করুক, তাঁরা তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন লাগু হতে দেবেন না। শুধু তাই নয় তাঁরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন। কিন্তু কেরালার রাজধানী তিরুবন্তপুরম মঙ্গলবার সম্পূর্ণ বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হল। এনআরসি, এনআরপি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতায় বেশ কিছু মহিলা এবং পুরুষ শিশুদের নিয়ে ফুটপাথে ছোট একটা প্যান্ডেল খাটিয়ে বসেছিল সচিবালয়ের সামনে গত ১৬ দিন ধরে। মানবধিকার কর্মী থেকে শুরু করে বড় এবং মাঝারি মাপের নেতা কর্মী সবাই আসছিলেন এঁদের সঙ্গে ধর্ণায় যোগ দিতে।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সোমবার রাতে বেশ কিছু পুলিশকর্মী ওই জায়গায় আসেন। ঘুরে ঘুরে আন্দোলনকারীদের নাম ঠিকানা নেন তাঁরা। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এসে তাঁরা বলেন এখানে ধর্ণায় বসা যাবে না। তাঁদের প্যান্ডেলও খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।তাঁদের বক্তব্য, এই এলাকায় বসলে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আন্দোলনকারীরা অবশ্য বলছেন, জায়গা ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। এইখানে বসেই ধর্ণা চালাবেন তাঁরা।