ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের সাফল্যের প্রথম ধাপ। বিশ্ব জুড়ে ভ্যাক্সিনের দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারত। এবার সেই সংস্থার প্রথম সাফল্যের কথা প্রকাশ্যে এল।
ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পশুর শরীরে সফল করোনার টীকা। চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালের মাধ্যমে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
শনিবারই একথা ঘোষণা করেছে ‘ভারত বায়োটেক।’ সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে লাইভ ভাইরাল চ্যালেঞ্জ মোডে এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। যাদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হায়দরাবাদের এই সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ম্যাকাকা মুলাটা নামে এক প্রজাতির বাঁদরের শরীরে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ২০টি বাঁদরকে ৪ টি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়।
একটি গ্রুপকে দেওয়া হয় প্লেসবো। বাকি তিনটি গ্রুপে তিনটি আলাদা ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। ১৪ দিন পরে দেওয়া হয় সেকেন্ড ডোজ। এরপর তাদের শরীরে SARS-CoV-2 বা করোনা ভাইরাস প্রয়োগ করলে দেখা যায় তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
লালারস সংগ্রহ করে দেখা যায় তারা করোনা আক্রান্ত হয়নি। ভাইরাস তাদের শরীরে প্রবেশ করানোর ৭ দিন পরও আক্রান্ত হয়নি তারা।
এদিকে, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছে অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা। যে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর হিউম্যান ট্রায়াল চলছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের শারীরিক পরিস্থিতিতে কিছুটা সন্দেহজনক পার্থক্য নজরে এসেছে। সেই বিষয়ের ওপর প্রাথমিক ভাবে নজরদারি করতেই ট্রায়াল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অক্সফোর্ড।
তবে ওই স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কী ধরণের পরিবর্তন এসেছে বা কী সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেবিষয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। তবে ওই স্বেচ্ছাসেবক আপাতভাবে সুস্থ হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তবে ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়ায় বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য প্রক্রিয়া। কারণ এতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্যান্য ভ্যাকসিনের ট্রায়ালেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটকেও নোটিশ পাঠিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের টিকাই ভারতে তৈরি করছে সেরাম। তবে সিরাম ইন্সটিটিউট টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে ডিসিজিআই। এরপরই ওই সংস্থা ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছে।