দেশে প্রেমের জন্য গুলি। আর সেই গুলির জন্য প্রতিবাদ করলে পুলিশের লাঠিচার্জ, গ্রেপ্তার একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাস দিয়ে ফাঁসানো বর্তমান বাংলার এই চিত্র আজ আরও একবার ফুটে উঠল দুপুর ১ টা নাগাদ শিয়ালদা ধর্মতলা চত্বরে। গত সোমবার গার্ডেনরিচ এলাকায় আর.এস.এস এর করার জন্যদুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন বীর বাহাদুর সিং নামে এক যুবক। এর প্রতিবাদে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সংগঠন এই মিছিলে তথা প্রতিবাদ সভায় আয়োজন করে।
মিছিলে শুরুতেই পুলিশ জোর করে মিছিল আটকাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ মিছিলে আগত নারী-পুরুষের ওপর লাঠিচার্জ করতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে পুলিশের লাঠিচার্জই নয় মিছিলে আসা যুবকদের অসভ্য গালিগালজ করে। এর প্রতিবাদে গর্জে উঠল পুনরায় লাঠিচার্জ সহ মারতে থাকে, স্থানীয় মানুষ এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে পুলিশ বিক্ষিপ্তভাবে বাধা দিতে থাকে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়।
আন্দোলনকারীদের সমর্থনে স্থানীয় মানুষ বলতে শুরু করলে পুলিশের একাধিক কনস্টেবল বলতে থাকে এই মিছিলে কোন অনুমতি নেই। আয়োজকদের পক্ষে স্বরুপ ঘোষ বলেন, বর্তমান বাংলা জুড়ে এক অদ্ভুত ধরণের দমন পীড়ন একপেশেভাবে হয়ে চলছে।
ভারত মাতা কি জয়, জয় শ্রীরাম,জয় বজরংবলি ইত্যাদি শব্দ শুনলে শাসক দলের নেতৃত্ব পুলিশ প্রশাসন দিয়ে নির্যাতন করেছে এমনকি আইন হাতে তুলে শারীরিক নির্যাতন, গুলি ইত্যাদির মতো ঘটনাও খুব স্বাভাবিকভাবেই হচ্ছে। কলকাতার মধ্যেই গত ২ ডিসেম্বর আর.এস.এস করার অপরাধে বীর বাহাদূর সিং এক যুবকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়।
খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াতেই জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্য শুরু হয়। এইসব এর জন্যই এই ধরনের আন্দোলনআত্মকে কর্মসূচি “হিন্দু জাগরণ মঞ্চ” এর উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বলে স্বরূপ বাবু জানান। তার আরও বক্তব্য অতীতে এই ধরনের সভা সমিতির জন্য তারপর বাংলার প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তারা টালবাহানা করে এবং অনুষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন কৌশলে অন্যখাতে চালানোর চেষ্টা করে তাই শুধুমাত্র জানান দিয়েই এই প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে সাধারণ মানুষের আগ্রহে । অথচ এই কলকাতাতেই প্রকাশ্য দিবালোকে জনসভা করে দেশ বিরোধী মন্তব্য করে সভা-সমিতি বারংবার হয়ে চলেছে সে ক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অদ্ভুতভাবে নিরব ।