ইসরোর উদ্যোগে ফের একবার চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ভারত৷ চন্দ্রায়ন ২ চাঁদে রহস্যভেদ করবে। এতদিন চাঁদের আলোকিত দিকে পা রেখেছিলেন দেশের বিজ্ঞানীরা৷ তবে, এবার চাঁদের অন্ধকার দিকে কি রয়েছে সেই রহস্যের উন্মোচন করতে চলেছে ভারত৷ অর্থাৎ যে দিকটায় সূর্যের আলো পড়ে না৷
আর তা করতেই চন্দ্রায়ন-২কে মহাকাশে পাঠানোর জন্যে তৈরি ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো। গত রবিবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আটকে যায় এই অভিযান। কিন্তু আজ সোমবার সব বাঁধা কাটিয়ে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রায়ন।
পৃথিবী তার নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে ঘুরে চলেছে৷ তাই পৃথিবীর সবদিকই আলোকিত হয়৷ কিন্তু চাঁদের একটি দিক কিন্তু সূর্যের আলো পায় না৷ তাই সেই দিকটি বরাবরই অন্ধকারই থাকে৷ এবার সেই দিকের মাটিতেই পা রাখতে চলেছে ভারত৷ এটিই হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান৷ একেবারে অন্ধকার দিকটিতে, এই অংশটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩৭০মাইল দূরে৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের এই অংশটিতে যে পাথর রয়েছে তা প্রায় ৪বিলিয়ন বছরের পুরোনো৷ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এখানেই ছিল এক বিশালকার সমুদ্র৷ সেই সমুদ্রের তরল পাথর জমাট বেঁধে চাঁদের মাটিতে এই পাথর জমেছে৷
চন্দ্রায়ন ২ অভিযানে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে ভারত৷ অপরদিকে, সেই অংশটিতে নাসাও যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেই ট্রাম্প চন্দ্রাভিযানের নির্দেশ দিয়েছিল৷ চাঁদের ওই অন্ধকার অংশটি থেকে পাথর তুলে আনবে রোবট৷ সেই পাথর পরীক্ষাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে৷ তবে, ভারত চন্দ্রাভিযানের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অনেক বেশি শক্তিশালী এমনটাই দাবি ভারতের৷
প্রসঙ্গত, ভারতের এই চন্দ্রায়ন-২ অভিযান তিন বছর আগের প্রোজেক্ট৷ কারণ এই মিশনের ডিজাইন এবং সফল করার দায়ভার ছিল রাশিয়ার উপরে৷ সেই কারণেই ইসরো স্থির করে এই প্রোজেক্টের কাজটি সম্পূর্ণ নিজেরাই করবে ভারত৷ তবে, এর আগেও চন্দ্রায়ন-১ অভিযানে চাঁদের মাটিতে মহাকাশভিযান স্থাপন করেছিল ভারত৷
চাঁদের মাটিতে জলের এবং বরফের অস্তিত্ব বুঝতেই এই অভিযান চালিয়েছিল ভারত৷ এই চন্দ্রাভিযানে সফল হলেই ভারত এবার মঙ্গলবার এবং শুক্র কিংবা অন্য কোনও গ্রহাণুতে অভিযান চালাবে ভারত৷