বিদেশে কালো টাকা পাচার করতে গিয়ে সিবিআইয়ের জালে ধরা দিলেন ৫১ জন ভারতীয়। এদের মধ্যে ৪৮ জন ব্যক্তি এবং ৩ টি সংস্থা অর্থাৎ মোট ৫১ জন আছেন বলে খবর মিলেছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনারা প্রায় ১০৩৮ কোটি টাকা হংকংয়ে পাচার করেছিলেন। ২০১৪-১৫র মধ্যে এই টাকা লেনদেন হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। ৪৮ জন ব্যক্তির বেশিরভাগ চেন্নাইয়ের বাসিন্দা।

এদের মধ্যে কয়েকজন হলেন মহম্মদ ইব্রামসা জনি, জিন্তা মিধার এবং নিজামুদ্দীন।

তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে, অভিযুক্তদের নামে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির স্থানীয় শাখাগুলিতে প্রায় ৫১টি অ্যাকাউণ্ট খোলা হয়।
অ্যাকাউণ্টগুলির ২৪ টি থেকে প্রায় ৪৮৮.৩৯ কোটি টাকা প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠানো হয়। এগুলি কিছু জিনিস লেনদেনের হেতু অ্যাডভান্স হিসেবে পাঠানো হয় সিবিআই সূত্রের খবর।
আনানো জিনিস এবং টাকার অঙ্কের মধ্যে বিস্তর ফারাক পাওয়া গেছে।
একই রকমভাবে বাকি ২৭ টি অ্যাকাউণ্ট থেকে ভারতীয় পর্যটকদের বিদেশ যাত্রার নাম করে ৫৪৯.৯৫ কোটি টাকা পাঠানো হয় হংকংয়ে। টাকা লেনদেনের পুরোটাই বেআইনিভাবে করা বলে অনুমান।

৫১র মধ্যে যে তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের কারবার লাখে হলেও বিদেশে পাচার করা কালো টাকার অঙ্ক কোটিতে বলে সেই সংস্থাগুলির অডিট করে সিবিআই জানতে পেরেছে। লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক আধিকারীকদের বিরুদ্ধেও লেনদেন করে দেওয়ার বিনিময়ে ক্যাশ মারফত ঘুঁষ নেওয়ার উঠেছে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্ত করবে বলে খবর।