BREAKING: দেশে ফের আক্রান্ত ২৪ হাজারের বেশি, মোট মৃত বেড়ে ১.৪৬ লক্ষ

দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হলেন ২৪ হাজার ৭১২ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩১২ জন। একই সঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৯ হাজার ৭৯১ জন।

দেশে নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় বদলেছে মোট পরিসংখ্যানের চিত্রও। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৭৮ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৪৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৯৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৭৩ জন। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৫৬ জন।

সুসংবাদ হল ভারতে সম্ভবত করোনার দ্বিতীয় টেউ আছড়ে পড়বে না। ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি অতিমারিতে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন কমছে। বিশিষ্ট ভাইরাসবিদ ডাক্তার শহিদ জামিল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় করোনার যে দাপট দেখা গিয়েছিল, সেই তুলনায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমেই নিম্নগামী।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে না মাস্ক। এমনই দাবি একদল বিশেষজ্ঞের। শুধু মাস্ক পরলে কখনোই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না বলে দাবি তাঁদের। গবেষকরা পাঁচ ধরণের মাস্কের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন। তাঁরা বলছেন কোনও ধরণের মাস্কই যথেষ্ট নয়, যদি না সামাজিক দূরত্ব থাকে। কোনও ব্যক্তি হাঁচি দিলে বা কাশলে শুধু মাস্কে সংক্রমণ আটকাবে না। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব। কমপক্ষে ৬ফুট দূরত্ব থাকা বাঞ্ছনীয়।

ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের ৩০ কোটি মানুষকে দেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে টিকাকরণের প্রস্তুতি চলছে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে।

তবে শিশু ও নাবালকদের এখনই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। যেহেতু এখনও পর্যন্ত টিকা প্রস্তুতকারী কোনও সংস্থাই করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শিশু ও ১৮ বছরের নীচের কারও উপর প্রয়োগ করেনি। সেই কারণেই শিশু ও ১৮ বছরের নীচের কাউকে এখনই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.