বিজেপির ইস্তহার প্রকাশ হল। বিজেপি দাবি করেছেন এটি অন্যান্য দলের মত ঘোষণা পত্র নয় এটি তাদের সংকল্প পত্র। পাঁচ বছরে ৭৫ টি লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে বিজেপি। কারণ সামনেই ভারতের স্বাধীনতা ৭৫ বছর পূর্তি হবে। বিজেপির ঘোষিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অভিন্ন দেওয়ানি য আইন লাগু ,সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি, ৩৫এ ও ৩৭০ ধারা বাতিল করা, নাগরিকত্ব বিল পাশ করানো, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইশতেহারে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।
রাষ্ট্রবাদ, অন্ত্যোদয় ও সুশাসনের উপর জোর দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন রাষ্ট্রবাদ আমাদের প্রেরণা, অন্ত্যোদয় আমাদের ধর্ম, সুশাসন আমাদের মন্ত্র। এর উপর ভিত্তি করেই বিজেপির ইশতেহারে প্রকাশ করা হয়েছে। ইশতেহারে বিবিধ দিকে নজর দেওয়া হয়েছে,তাই এই ইশতেহারের মাল্টি ডায়মেনশন ও মাল্টি লেয়ার রয়েছে বলে জানান মোদী। তিনি বলেন মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইশতেহারে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন দেশের উন্নয়নকে গন আন্দোলনে পরিণত করার উদ্দেশ্যে এই ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে।
ইশতেহারে বলা হয়েছে,
জলসমস্যা মেটানোর জন্য আলাদা করে জলশক্তি মন্ত্রক ও মৎস্যজীবীদের জন্যও আলাদা মন্ত্রক হবে। গরীবের এম্পাওয়ারমেন্টর উপর জোর দেওয়া হয়েছে, পূর্ব ভারতের বিকাশে বেশি করে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের পেনশন দেওয়ার কথা ইশতেহারে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে কৃষকদের জন্য ১ লক্ষ পর্যন্ত কৃষি ঋণে পাঁচ বছর পর্যন্ত সুদ মুকুব করার কথা বলা হয়েছে। তার সঙ্গে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলো সরকার যা পরবর্তীতে লাগু থাকবে। ৬০ বয়সের পর কৃষকদের ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেনশন দেবে বিজেপি সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে কংগ্রেসের ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তাকে উপচে যেতে সূত্রের হতে পারে বিজেপির এই প্রতিশ্রুতি।
ইশতেহারে বলা হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা হবে। মুসলিম মহিলাদের স্বার্থে তিন তালাক আইন পাশ করে তা বলবত করা হবে।
সমস্ত গরীব পরিবারের জন্য এলপিজি, প্রতি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু, সব রকম সেচ পরিকল্পনা সম্পন্ন করা হবে।এছাড়াও ১৪০০ জন প্রতি একজন চিকিৎসক নিয়োগ, ৭৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হবে। ২০২২ এর মধ্যে সব রেললাইন ব্রডগেজ হবে।
সংকল্প পত্রে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। দেশের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশে একসময় নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার।