গরম এবং এনসেফেলাইটিস৷ এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ বিহার যেন মৃত্যুপুরী৷ শনিবারই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ শিশুর মৃত্য হল৷ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭৷ অপরদিকে প্রবল গরমের বলি হয়েছে ৪০ জন৷ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি কম করেও ৩০ জন৷ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর৷ ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্ক রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন৷
গরমে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঔরঙ্গবাদ জেলায়৷ এই জেলাতেই ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ সদর হাসপাতালে ভরতি আছেন ৩০ জন৷ তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছে, জেলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ৷ তাপপ্রবাহ চলছে৷ গরম সহ্য করতে না পেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ যাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাদের অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল৷ ১৫ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়৷ হাসপাতালের তরফে সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে৷ কিন্তু দিনে দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷
জেলার ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট কমিশনার ঘনশ্যাম মীনা জানান, প্রবল গরমের এই মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে৷ ফলে মৃত্যুর কারণ আরও পরিস্কার হবে৷ ঔরঙ্গবাদের পরেই রয়েছে গয়া৷ সেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
গরমে বিহার এখন পুড়ছে৷ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রির উপরে৷ শনিবারই বিহারের তাপমাত্রা দশ বছরের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়৷ রাজ্যের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৮ জুন অবধি এই অবস্থা চলবে৷ মধ্য এবং দক্ষিণ বিহার, পাটনা, গয়াতে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে৷ এই অবস্থায় রাজ্য সরকার ১৯ জুন অবধি গরমের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে৷ কারণ ১৮ জুনের পর থেকে আবহাওয়ার খানিক উন্নতির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস৷
অপরদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতের পরিবারদের সমবেদনা জানিয়েছে৷ একই সঙ্গে মৃতের পরিবারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে৷ যারা গরিব সীমার নিচে তাদের শেষকৃত্যের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ এছাড়া মৃতের পরিবারদের ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে৷