ভারতীয় সিনেমার যত সেরা খলনায়ক রয়েছেন তাঁদের মধ্যে সেরা কে ? এই প্রশ্ন করলে অনেকের নাম উঠে আসবে। সেই তালিকায় প্রাণ, ড্যানি ড্যানজংপা, আমজাদ খান, মুকেশ ঋষি, আশুতোষ রানা’র, মতো অভিনেতাদের নাম আসবেই।
সিনেমার গ্লোবালাইজেশনের যুগে ‘ভিলেন’ বা খলনায়কের চরিত্রে এখন নির্দিষ্ট কাউকে পাওয়া যায় না, যেমন ভাবে কমেডিয়ানরা হারিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ‘মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া’ বললেই একজন খলনায়কের মুখের অবয়ব চোখের সামনে ভেসে উঠবে। অমরীশ পুরি। বিশ্বসিনেমায় ‘সেরা ভিলেন’ খুঁজতে গেলেও উঠে আসছে সেই তাঁরই নাম। তাহলে ভারতের সর্বকালের সেরা ভিলেন কে? উত্তর হয়তো আসবে ‘মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া’।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কেন এমন ধারনা তৈরি হচ্ছে ? স্টিভেন স্পিলবার্গে যদি বিশ্ব সিনেমার জগতে অন্যতম বেঞ্চমার্ক হন আর তাঁর দেখা সেরা খল চরিত্র অভিনেতা যদি অমরীশ পুরি হন তাহলে সিনেমা প্রেমীদের তা ভাবাতে বাধ্য।
অমরীশ পুরি সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে অস্কারজয়ী এই নির্মাতা বলেছিলেন, “আমার সবচেয়ে প্রিয় খল চরিত্রের অভিনেতা হলেন অমরিশ পুরি। পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া সর্বকালের সব খলনায়কদের মধ্যে তিনিই সেরা এবং তার মতো কেউ আসবেও না।”
স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স: টেম্পল অফ ডুম’-এও অভিনয় করেছেন প্রধান খল চরিত্র মোলা রামের ভুমিকায়। সেই ছবির পরেই তাঁর এই ধারনা আরও বদ্ধমূল হয়ে যায়। রিচার্ড অ্যাটেনবরোর কালজয়ী সিনেমা ‘গান্ধি’তেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু প্রথমে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’-এ অভিনয়ের জন্য রাজি হননি অমরিশ। পরে অ্যাটেনবরোর অনুরোধে রাজি হন। যিনি রিচার্ড অ্যাটেনবরোর অফার ফেরাতে পারেন তাঁকে নিয়ে তো বিশ্ব সিনেমা ভাববেই।
অথচ নিজের প্রথম অডিশনেই ব্যর্থ হয়েচিলেন অমরিশ। উপার্জনের জন্য ইন্সুরেন্স কোম্পানির চাকরি নেন । যোগ দেন পৃথ্বী থিয়েটারে কর্মী হিসেবে। নাট্যকার সাত্যাদেভ দুবের অনেক নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সাংগীত-নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি। বদলে যেতে শুরু করে জীবন। মঞ্চের জনপ্রিয়তা তাকে টিভির বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সুযোগ এনে দেয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে রূপোলি পর্দায় নিজের আসন গড়ে নেন অমরিশ।
যাক ইন্টারনেট ঘাঁটলেই অভিনেতা সম্পর্কে বাকি তথ্য মিলবে। এসব বাদ দিয়ে মনে করুন “অব সমঝোগে পাশা কি ভাষা” ডায়লগ। বুকে হাত রেখে বলুন দেখি সেরা খল চরিত্র কে?