দেশের দৈনিক সংক্রমণ বৃহস্পতিবার প্রথম ২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। সমগ্র করোনা পর্বে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৯১ হাজার ৯১৭ জন। ভারতের থেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন শুধু মাত্র আমেরিকাতে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দৈনিক মৃত্যু পর পর ৩ দিন হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ জনের। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০৮ জন কোভিডে প্রাণ হারালেন দেশে। দৈনিক সংক্রমণের এই বৃদ্ধি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৯৭ হাজার ৮৬৬। এখন দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪৩ জন। এই সক্রিয় রোগী বৃদ্ধির জেরে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবাতে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। একই শয্যাতে থাকতে হচ্ছে একাধিকজনকে। কেউ কেউ আবার শয্যা না পেয়ে চেয়ারে বসেই চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৬৯৫ জন। উত্তরপ্রদেশেও হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত। ২২ হাজার ৩৩৯ জন শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন সে রাজ্যে। দিল্লির অবস্থার অবনতি হয়েছে গত কয়েকদিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত ১৬ হাজার ৬৯৯ জন। কোনও এক শহরে একদিনে আক্রান্তের নিরিখে গত দু’দিন মুম্বইকে টপকে গিয়েছে দিল্লি। মুম্বইয়ে একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ৪ এপ্রিল। ওই দিন ১১ হাজার ১৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন মুম্বইয়ে। পুণেতে সবথেকে বেশি একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪৯৪ জন। গত দু’দিন এই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা। ছত্তীসগঢ়েও শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৫৬ জন। কর্নাটকে সংখ্যাটা সাড়ে ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান তামিলনাড়ু, কেরলের অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, তেলঙ্গানাতেও আক্রান্ত বেড়ে চলেছে।
সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের কড়াকড়ি ফিরিয়ে এনেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। পাশাপাশি টিকাকরণ চলছে জোরকদমে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭ লক্ষ ৩০ হাজার ২৭১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও অবধি ১১ কোটি ৭২ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশে।