সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার ‘অপরাধে’ দল থেকে বহিষ্কার করা হল কংগ্রেসের এক রাজনীতিবিদকে। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে মীর আবদুলাকুট্টি নামে কেরলের ওই কংগ্রেস নেতা তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী গান্ধীজির মূল্যবোধ আত্মস্থ করছেন, এবং তাই দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। এই লেখাই কোনও ভাবে ইঙ্গিত দেয়, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। আর এর ফলেই বহিষ্কারের নোটিস ধরায় দল।
মীর আবদুলাকুট্টি অবশ্য দলের এই সিদ্ধান্তে দুঃখ পেলেও, তিনি কোনও অন্যায় করেছেন বলে মানতে রাজি নন এখনও। তিনি বলেন, “আমি খুবই মর্মাহত। কিন্তু কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কাছ থেকে আমি এটা আশা করিনি। আমি সুযোগসন্ধানী নই। আমি সব সময়েই মানুষের ভালর জন্য কথা বলেছি। ফলে এমন আচরণ আমি দলের তরফে আশা করিনি।” বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনা অবশ্য খারিজ করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ২৯ মে প্রথম সূত্রপাত হয় সমস্যার। ওই দিন তিনি স্বচ্ছ ভারত অভিযান, উজ্জ্বলা যোজনা ইত্যাদি কেন্দ্রীয় নীতির কথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে মোদী গান্ধী নীতি অনুসরণ করেছেন। ওই ফেসবুক পোস্টের শিরোণামে আবদুলকুট্টি লেখেন, “নরেন্দ্র মোদীর জয়ের উদ্দেশে”।
তিনি আরও দাবি করেন, মোদীর এই নীতিগুলি দেশকে আরও অনেক এগিয়ে দেবে। “কেরালার সীমা পার করলেই বাকি ভারতের ছবি পরিষ্কার হয়। অনেক দারিদ্র্য চোখে পড়ে। মোদী সে সবের জন্য অনেক কিছু করেছেন। দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী ছ’কোটি মানুষকে গ্যাস কানেকশন দিয়েছেন বিনামূল্যে।”– লেখেন তিনি।
কেরলের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, মীর আবদুল্লাকুট্টির এই পোস্টে দলের সকলে রীতিমতো বিস্মিত। এর আগে কখনও কংগ্রেসে থেকে কোনও নেতাকে দেখা যায়নি বিরোধী দলের নেতার এত প্রশংসা করতে। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনাচক্রে, এমন কাণ্ড এই প্রথম ঘটালেন না আবদুল্লাকুট্টি। ২০০৯ সালে, তিনি যখন সিপিআইএম-এর সদস্য ছিলেন, তখনও গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। দশ বছর পরে তাঁর দল বদলেছে, কিন্তু স্বভাব যে মোটেই বদলায়নি, তা স্পষ্ট হল আবারও।