নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই তিন রাজ্যে ২১ জনের শরীরে করোনার নতুন প্রজাতি জে এন ১- এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে গোয়ায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংক্রমিতের হদিশ পাওয়া গেছে।
গোয়াতে আক্রান্ত ১৯ জন, বাকি দু’জন মহারাষ্ট্র ও কেরলের বাসিন্দা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে সব রকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য।
করোনার নতুন উপপ্রজাতির মোকাবিলায় বুধবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৈঠকের পর কেন্দ্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। ভয়ের কোনো জায়গা নেই। এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রয়েছে তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য মক ড্রিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরাও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে বারণ করছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায় করোনা ভাইরাস পরিবেশে থাকবেই। কিন্তু ক্রমশ তার ভয়াবহতা কমবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ দেখা দেবে। বয়স্ক বা কোমর্বিডিটি থাকলে সুরক্ষা নিতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের মতে শীতের ও উৎসবের মরসুমে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।