ওমিক্রনের আতঙ্ক এখনও পুরোদস্তুর বর্তমান। তার মধ্যেই হঠাৎ আবার একটা নতুন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। এটির নাম দেওয়া হয়েছে NeoCov। সম্প্রতি চিনের উহান প্রদেশের বিজ্ঞানীরাই দাবি করেছেন, করোনার এমন একটি নতুন রূপের সংক্রমণ বাড়ছে। এটি নাকি এখনও পর্যন্ত করোনার যতগুলি রূপ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এবং এটিতে আক্রান্ত প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
তবে এই করোনাভাইরাসটি একেবারে নতুন কিছু নয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার কিছু কিছু দেশে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছিল। Middle East respiratory syndrome বা MERS-coronavirus (MERS-coV) বলা হত। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কোভিড বা SARS-CoV-এর সঙ্গে এই MERS-coV-এ উপসর্গগত বিশেষ পার্থক্য নেই। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এক্ষেত্রেও হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়।
নতুন গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই MERS-coV এবং NeoCov-এর মধ্যে গঠনগত মিল রয়েছে। BioRxiv নামের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, এটি মানুষের ক্ষেত্রে তেমন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। এটি শুধুমাত্র অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, এটি নিজেকে বদলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর মতো গঠন তৈরি করে নিচ্ছে।
করোনার নতুন এই সংক্রমণটি আটকানোর ক্ষেত্রে টিকা কতটা কাজে লাগবে?
বিজ্ঞানীরা তাঁদের রিপোর্টে বলেছেন, পুরনো টিকা নতুন এই করোনাভাইরাস আটকাতে বিশেষ কাজে লাগছে না। এমনকী পুরনো করোনাভাইরাসের রূপগুলিও এই নতুন করোনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। সেক্ষেত্রে এই করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
কীভাবে এই ভাইরাসের জন্ম হল?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা World Health Organization (WHO)-এর রিপোর্ট বলছে, প্রথমে বাদুড়ের শরীরে এটি তৈরি হয়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে উটের শরীরে। সেখান থেকে মানুষের শরীরে ঢোকে। এমনই একটা সন্দেহ রয়েছে। যদিও জিনম সিক্যুয়েন্সিং না করলে ঠিক করে এর উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়।