করোনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতার এক ব্যাংক কর্তার। গলফ গ্রিনে SBIয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজারের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন কনটেনমেন্ট জোনে (Containment Zone) ব্যাংকিং পরিষেবা নিয়ে মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে চিঠি পাঠানো হল মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে। তাতে এটিএমগুলি স্যানিটাইজ করা থেকে ব্যাংক কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে নতুন করে শুরু হওয়া লকডাউনের মাঝে কীভাবে ব্যাংকের কাজ চলবে, তা নিয়েও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
শহর কলকাতায় একের পর এক ব্যাংক কর্মীর শরীরে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার জেরে বন্ধ রাখতে হয়েছে কয়েকটি শাখার কাজ। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক গ্রাহকদের নিয়ে বিপন্ন বোধ করছেন কর্মীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা মনে করছেন, গ্রাহকদের মধ্যে থেকে অজান্তেই করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন তাঁরা। যদিও করোনা আবহে ব্যাংকে ভিড় নয়, নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহক পরিষেবা দিয়েই কাজ চলছে। তা সত্বেও ভীতি কমছে না। এক ব্যাংক কর্মীর মতে, গ্রাহকদের মধ্যে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত তো অনেকেই থাকতে পারেন। যাঁদের সংসর্গ খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। কাজের সময়ে এই চিন্তাও থাকছে। ব্যাংক কর্তারা চাইছেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে পরিষেবা দিতে।
এছাড়া বাড়তি চিন্তা হচ্ছে এটিএম নিয়ে। ব্যাংক কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এটিএম ঠিকমতো স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। যে দায়িত্ব এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা রোজ জীবাণুমুক্ত করছে না এটিএম কাউন্টারগুলি। এমনিতে লকডাউনে (Lockdown) কর্মী সংখ্যা কমেছে। ফলে অনেক সময়ে ব্যাংক কর্মীদেরই এটিএমে টাকা ভরার কাজ করতে হচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে, নতুন দফার লকডাউনে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যান্য কনটেনমেন্ট জোনে ব্যাংকিং পরিষেবার ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ হওয়ার পর তিনি কী পরামর্শ দেন, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন ব্যাংক কর্মী, আধিকারিকরা।