ভ্যাক্সিন পেতে হয়ত আর খুব বেশি দেরি নেই। একদিকে যখন ইউকে বা রাশিয়া জনসাধারণকে ভ্যাক্সিন দিতে শুরু করেছে, অন্যদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাক্সিন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য আবেদন জানিয়ে দিল।
ডিজিসিআই-এর কাছে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করার অনুমোদন চেয়েছে।
সম্প্রতি ওই সংস্থার কর্ণধার শনিবার জানান, শীঘ্রই তাঁরা জরুরিভিত্তিতে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আবেদন জানাবেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই আবেদন জানাবেন বলে উল্লেখ করেছেন পুনাওয়ালা।
চলতি মাসের শুরুতে পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন যে তাঁদের চেষ্টা থাকবে যাতে, ভারতে আগে ভ্যাক্সিন সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হয়। আগে নিজের দেশে দিয়ে তবেই অন্যান্য দেশে ভ্যাক্সিন পাঠাতে চাইছে এই সংস্থা।
এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ডে তৈরি ভ্যাকসিনে কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছিল। এরপরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। দেশে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে আসরে নামে সেরাম। তারপরেই সেরাম বিবৃতি দেয়। সেরাম জানিয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সব দিক বিবেচনা করেই তা তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ডিসেম্বরের শুরুতেই যদি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালের ফল পজিটিভ হয়, তবেই ভ্যাকসিন বাজারে অনুমোদনের পরেই নিয়ে আসা হবে। এমনই আশার কথা শুনিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই সংস্থা জানাচ্ছে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড মানব শরীরে ৯০ শতাংশ কার্যকরী প্রমাণিত হবে। যতগুলি ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে কাজ হচ্ছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটি সবথেকে বেশি কার্য়করী ও নিরাপদ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সম্ভবত তৈরি হয়ে যেতে পারে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন। ভারতে এই ভ্যাকসিনের ওপর কাজ করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সেরাম প্রধান আদর পুনাওয়ালা।