পুরনো টিকায় আর কাজ হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। তাই এবার নতুন টিকার প্রস্তাব করা হল International Coalition of Medical Regulatory Authorities বা ICMRA-এর তরফে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সব দেশ, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিশেষজ্ঞদের কমিটির সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর বৈঠকে উঠে এসেছে এমন প্রস্তাব। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে।
করোনার টিকা আসার পরে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, এই ভ্যাকসিনই করোনাকে অনেকটা আটকাতে পারবে। কিন্তু ওমিক্রন সেই ছবিটা বদলে দিয়েছে। দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের ফলে টিকার কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। তাই এই বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, নতুন টিকা নিয়ে আসার। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ওমিক্রনের পরে টিকার ক্ষমতা কতটা কমেছে?
- দেখা গিয়েছে, টিকার দু’টি ডোজজ নেওয়া থাকলেও নতুন ধরনের সংক্রমণ থেকে মাত্র ১৮ থেকে ২০ শতাংশ নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে।
- বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় টিকা নেওয়ার পরে সেটি বেড়ে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ।
- কিন্তু তৃতীয় ডোজের তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেটি নেমে যাচ্ছে ৫০ শতাংশে।
এর সব ক’টির পিছনেই কাজ করছে ওমিক্রনের মতো করোনার রূপ। সেই রূপটিও আবার মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে বদলাচ্ছে।
এর পরে কী?
ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের মতো দেশে দ্বিতীয় বুস্টার টিকা, অর্থাৎ টিকার চতুর্থ ডোজটি দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে অনেক দেশই এই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে। কিন্তু সেটিও ওমিক্রন বা করোনার পরবর্তী রূপগুলি থেকে পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই আগামী দিনে টিকার ধরন বদলাতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ওমিক্রন ইতিমধ্যেই ডেল্টা-সহ করোনার অন্য রূপগুলিকে পিছিয়ে দিয়েছে। করোনার অন্য রূপগুলির কথা মাথায় রেখে যে টিকা তৈরি হয়েছিল, এবার সেটি রূপগুলি না থাকায় ওমিক্রনকে আটকানোর মতো করে নতুন টিকা তৈরি করতে হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এই টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।